• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

চট্টগ্রামে প্রথম দিন শেষেই চালকের আসনে লঙ্কানরা

প্রকাশ:  ৩০ মার্চ ২০২৪, ২১:০০
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে সিলেটে সফরকারীদের রান পাহাড়ে চাপা পড়তে হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের লক্ষ্য লঙ্কানদের হারিয়ে সিরিজে সমতা আনা। তবে সাগরিকায় প্রথম দিন শেষে সিলেটের মতো আবারো রান পাহাড়ে বসতে যাচ্ছে সফরকারীরা। এক হাসান মাহমুদ বাদে অন্য সব বোলারের অসহায় আত্মসমপর্নে প্রথম দিন শেষেই সফরকারীদের রান ৩০০ ছাড়িয়েছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম দিন শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান। ক্রিজে আছেন ৩৪ রান করা দিনেশ চান্দিমাল আর আগের টেস্টে দুই শতক হাকানো অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা অপরাজিত আছেন ১৫ রানে। সফরকারীদের পক্ষে অর্ধশতকের বেশি রান করেছেন নিশান মাদুস্কা, দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল মেন্ডিস। তবে কোন ব্যাটারই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেনি। বাংলাদেশের পক্ষে আজকের ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হওয়া হাসান মাহমুদ নিয়েছেন ২ উইকেট আর প্রায় এক বছর পর টেস্ট দলে ফেরা সাকিব আল হাসানের ঝুড়িতে গেছে ১টি উইকেট।

সিলেটে ৩২৮ রানের লজ্জার হারের পর বাংলাদেশ চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে সমতায় ফিরতে চায়। সেই লড়াইয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের ফেরায় দলে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জুগেছে। তবে মাঠের লড়াইয়ে সেই আত্মবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ছিল না। প্রথম সেশনে দুই ক্যাচ মিসের খেসারতে বেশ চাপে থেকেই দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।

ইনিংসের ৯ রানে মাদুস্কা আর ২২ রানে অপরাজিত থাকা করুনারত্নের ক্যাচ ছাড়ার খেসারত হিসেবে দুই জনই ফিফটি করে বাংলাদেশকে ভোগান। প্রথম সেশন কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৮ রান তুলে নেয় সফরকারীরা।

বাংলাদেশ প্রথম উইকেটের দেখা পায় দ্বিতীয় সেশনে গিয়ে। ইনিংসের ২৯তম ওভারে রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন ১০৫ বলে ৬ চারে ৫৭ রান করা মাদুস্কা।

অন্যদিকে করুনারত্নে মাঠ ছাড়েন ৮৬ রানের ইনিংস খেলে। ইনিংসের ৫৬তম ওভারে এ ব্যাটারকে বোল্ড করেন হাসান। ১২৯ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কার মারে সাজানো ছিল তার ইনিংস। তাকে ফিরিয়ে অভিষেক টেস্টে প্রথম উইকেটের দেখা পান হাসান। অবশ্য ষষ্ঠ ওভারে মাহমুদুল হাসান জয় আর ২২তম ওভারে সাকিব ক্যাচ না মিস করলে আগেই উইকেট পাওয়া হয়ে যেত তার। লড়াইয়েও এগিয়ে থাকত পারত বাংলাদেশ। কারণ দলকে ভালো সংগ্রহের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন এ দুই ব্যাটারই।

দুই ওপেনারকে হারানোর পরও অবশ্য থামেনি লঙ্কানদের রানের চাকা। বরং কুশল মেন্ডিস ক্রিজের আধিপত্য নিয়ে ছড়িয়েছেন দ্যুতি। তবে এদিন ভাগ্য সহায় হয়নি বলে মাত্র ৭ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। টেস্টে নিজের দশম সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে তিনি সাকিবের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে স্লিপে ধরা পড়েন।

এরপরের জুটিটা অবশ্য বেশি দূর যেতে দেননি হাসান। ৮১তম ওভারে অভিষিক্ত এ পেসারের শেষ বলে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় ক্যাচটি ধরেন তৃতীয় স্লিপে দাঁড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৩ রান করে আউট হন ম্যাথুস। ভাঙে ম্যাথুস ও চান্দিমালের ২৬ রানের জুটি। শেষদিকে দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি চান্দিমাল ও ধনাঞ্জয়া। ব্যাট হাতে দারুণ একটি দিন কাটিয়ে মাঠ ছাড়ে লঙ্কানরা।

বাংলাদেশের পক্ষে ১৭ ওভার বল করে ৬৪ রান খরচায় ৫ মেডেনসহ ২ উইকেট নেন হাসান। ১৮ ওভার বল করে ৬০ রান খরচায় ২ মেডেনসহ ১ উইকেট নেন সাকিব। এদিন উইকেটের দেখা পাননি খালেদ আহমেদ, মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।

বাংলাদেশ,শ্রীলঙ্কা,টেস্ট সিরিজ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close