ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় প্রথম দিনই ৩০০ পার শ্রীলঙ্কার
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম সেশনে দু’টি ক্যাচ ও একটি রান আউটের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন স্বাগতিক বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এই সুযোগে তিন ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে টেস্টের প্রথম দিন নিজেদের করে রাখল সফরকারী শ্রীলঙ্কা। দিন শেষে ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩১৪ রান করেছে লংকানরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৩ রান করেছেন কুশল মেন্ডিস। বাংলাদেশের পক্ষে ২ উইকেট নেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা পেসার হাসান মাহমুদ।
সম্পর্কিত খবর
শ্রীলঙ্কান ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ব্যক্তিগত ৯ রানে ওপেনার নিশান মাদুশকাকে শিকার করতে পারতেন হাসান। কিন্তু স্লিপে মাদুশকার ক্যাচ ফেলেন মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর ১৬তম শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সরাসরি থ্রোতে মেহেদি হাসান মিরাজ স্ট্যাম্প ভাঙ্গতে না পারলে, ১৮ রানে জীবন পান শ্রীলঙ্কার আরেক ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে।
২২তম ওভারে আবারও উইকেট বঞ্চিত হন হাসান। ঐ ওভারের শেষ বলে হাসানের বাউন্সারে হুক করেন করুনারত্নে। বল উড়ে যায় ফাইন লেগে থাকা সাকিব আল হাসানের দিকে। কিন্তু সীমানা থেকে একটু এগিয়ে থাকায় ঠিকঠাক বলের লাইনে যেতে পারেননি সাকিব। বল তার হাত ফসকে ছক্কায় পরিণত হয়।
জীবন পেয়ে প্রথম সেশনেই টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মাদুশকা। দ্বিতীয় সেশনের দ্বিতীয় ওভারেই হাসানের দারুণ ফিল্ডিংয়ে রান আউটের ফাঁদে পড়েন মাদুশকা। ছয়টি চারে ১০৫ বলে ৫৭ রান করেন তিনি।
দলীয় ৯৬ রানে শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি পতনের পর বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন করুনারত্নে ও তিন নম্বরে নামা কুশল মেন্ডিস। এই জুটিতে করুনারত্নের ৩৭ এবং কুশলের ১৮তম হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০০ রানে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
দলীয় ২১০ রানে করুনারত্নেকে বোল্ড করে অভিষেক টেস্টে প্রথম উইকেটের দেখা পান হাসান। আটটি চার ও একটি ছক্কায় ১২৯ বলে ৮৬ রান করেন করুনারত্নে। হাসানের শিকার হয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে কুশল-করুনারত্নের জুটিতে ১১৪ রান যোগ করেন।
করুনারত্নে ফেরার পর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন কুশল। নিজেও সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন তিনি। কিন্তু সাকিবের করা ১১তম ওভারে স্লিপে মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে নার্ভাস-নাইনটিতে বিদায় নেন ১১টি চার ও একটি ছক্কায় ১৫০ বলে ৯৩ রান করা কুশল। ম্যাথুজকে নিয়ে দলকে ৫৩ রান এনে দিয়েছিলেন তিনি।
কুশল ফেরার পর দিনেশ চান্ডিমালকে নিয়ে জুটি গড়ার পথে ছিলেন ম্যাথুজ। এ অবস্থায় ৮০ ওভার শেষেই নতুন বল নিয়ে প্রথম ওভারেই সাফল্য পেয়ে যায় বাংলাদেশ। হাসানের করা ঐ ওভারের শেষ বলে স্লিপে মিরাজকে ক্যাচ দেন ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ রান করা ম্যাথুজ।
এরপর দিনের শেষ ৫৪ বলে ২৫ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন থেকে মাঠ ছাড়েন চান্ডিমাল ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। দু’টি করে চার-ছক্কায় চান্ডিমাল ৩৪ ও দু’টি বাউন্ডারিতে ধনাঞ্জয়া ১৫ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের হাসান ৬৪ রানে দু’টি ও সাকিব ৬০ রানে ১ উইকেট নেন।
