• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নারায়নখোলা উচ্চ বিদ্যালয়

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ

প্রকাশ:  ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:০৮
শেরপুর প্রতিনিধি

ফরমফিলাপ, রেজিস্ট্রেশন, মাসিক বেতন, পরিক্ষা ফি সহ নানা খাতে বিনা রশিদে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, প্রাইভেট না পড়লে নাম্বার কম দেয়ার হুমকিসহ নানা অনিয়মের প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার নারায়নখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে । এসময় ওই স্কুল মাঠে কয়েক শতাধিক ছাত্রছাত্রী, অভিবাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী বিক্ষোভে অংশ নেয়।

স্থানীয়রা জানায়, স্কুলটির প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত নানা খাতে বিনা রশিদে নানা অযুহাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে । এতে প্রতিবাদ করলে শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীরা । এছাড়াও প্রধান শিক্ষক একক আধিপত্য বজায় রাখার জন্য নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠনেও বিলম্ব করছেন বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। এসময় অভিবাবক সহ স্থানীয়রা অতিদ্রুত অনিয়ম গুলোর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন ও প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাহার করার শ্লোগান দেন ।

নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক নবম শ্রেণির এক ছাত্র জানায়, রেজিষ্ট্রেশন ফি ২৫০ টাকা হলেও আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে দুই হাজার দুইশত টাকা । অথচ এর প্রতিবাদ করায় আমাকে স্কুল থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়েছে। আমাকে কোচিং করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

সাইদুল নামে এক অভিবাবক বলেন, কোন ধরনের রশিদ আমাদের না দিয়ে বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। আমার প্রশ্ন হলো, বিনা রশিদে নেয়া এই লক্ষ লক্ষ টাকা কোথায় যাচ্ছে? আমরা মনে করি তিনি সহ তার কুকর্মের সহযোগীরা এই টাকা গুলো মেরে খাচ্ছে।

তবে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ গুলো ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন, তিনি মনে করেন সব কিছু নিয়মের মধ্যে থেকেই করা হচ্ছে। যারা এমন প্রপাকান্ড ছাড়াচ্ছে তারা স্বার্থনেষীমহল। অনৈতিক সুবিধা না দেয়ায় এমন করছে ।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। গতকাল অভিভাবকদের একত্র করার জন্য মাইকের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। ইউএনও মহোদয়ের কাছে এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটির তদন্তের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে দেওয়া হয়েছে। তাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যাথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিবিডি/আর-এইচ

শেরপুর

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close