বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের কোন্দলেই খুন হন শহীন
বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহবুব আলম শাহীনের হত্যা রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে সৃষ্ট কোন্দলের জের ধরেই খুন হন তিনি। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার ও তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকার মৃত কালুর ছেলে পায়েল শেখ (৩৫) ও নিশিন্দারা মন্ডল পাড়ার আবু তাহেরের ছেলে রাসেল (২৮)।
সম্পর্কিত খবর
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১২টায় বগুড়া পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে প্রেসব্রিফিংয়ে বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম এ তথ্য জানান। এসময় অতি: পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল পিপিএম, অতি: পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, সদর থানার ওসি বদিউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আলী আশরাফ ভূঞা জানান, বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে সৃষ্ট কোন্দলের জের ধরেই খুন হয়েছেন বিএনপি নেতা অ্যাড. মাহবুব আলম শাহীন। হত্যাকাণ্ডের কয়েকঘণ্টা আগে মোটর মালিক গ্রুপের এক নেতার অফিসে বসে এই গোপন বৈঠক হয়। ওই গোপন বৈঠক থেকে শাহীনকে নিষ্ক্রীয় করার সিদ্ধান্ত হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে অ্যাডভোকেট শাহীনকে উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীনকে হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, ১৭ এপ্রিল ভোরে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রাসেলকে (২৮) গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার হওয়া কালো রঙের পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যমতে পায়েল শেখকে (৩৫) গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের আমলি চুকাই গ্রামের তার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করা হয়। পায়েলের নামে বগুড়া সদর থানায় ৯টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুইজনকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে বেলা ১১ টার দিকে নিহত শাহীনের বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের শান্তনা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উল্লেখ্য, রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় বগুড়া শহরের উপশহর বাজারে দূর্বৃত্তরা শাহীনের উপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে হত্যা করে।
/অ-ভি