গণহত্যা দিবসে নোয়াখালীতে বিএনপির মানববন্ধন

নোয়াখালীতে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন। বুধবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডভোকেট সাহাদাত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক টপি, সদর উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি জসিম উদ্দিন ভিপি, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ভিপি পলাশ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবের হোসেন প্রমূখ।

প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, ১/১১ পর যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে তারা ষড়যন্ত্র করে এ দেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার জন্য, আমাদের পাশ্ববর্তী সাম্রাজ্যবাদী দেশের সহযোগিতায় এ দেশের গণতন্ত্রকে ২০১৪ সালে নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছিলো। সেই নির্বাচনে এ দেশের কোনো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি।

তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন নির্বাচিত হয়েছিলো। সরকার গঠন করতে লাগে ১৫১ জন। সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, বিনা ভোটে ১৫৩ জনকে নির্বাচিত করা হয়। সেই নির্বাচনে যে কয়টা আসনে ভোট হয়েছিলো সেখানে কোনো মানুষ ছিলো না। ছিলো গরু, ছাগল, কুকুর আর কিছু না। তারপরও সেই নির্বাচনকে তারা বৈধ নির্বাচন বলে বিশ্বের কাছে চালিয়ে দিয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্যে আবদুর রহমান বলেন, আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আপনারা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করুন এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করুন। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং উনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। এ দেশের মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা আপনারা কেনো বোঝেন না? দেশে সামনে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে সেজন্য সরকার ও প্রশাসন দায়ী থাকবে।

তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলন করার কারণে, গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের আন্দোলনের কারণে তাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে জেলে রেখে ধুকে ধুকে মারা হচ্ছে। আমি মনে করি সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে জেলখানায় পয়জনিং করে তাকে মারার ষড়যন্ত্র চলছে। তার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবি জানিয়ে আসলেও সরকার তা তোয়াক্কা করছে না।

প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের ভোটাধিকার ও গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছিলাম।আমাদের যে দল স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ- তারা কিন্তু সেই গণতন্ত্রের মূল্যায়ন করেনি। যে কারণে আমাদের গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।

পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি