লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামিরা অধরা
লক্ষ্মীপুরে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী মো. মিজান, আহসান ও মো. মিঠুর বিরুদ্ধে বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা। মামলার পর থেকে আত্মগোপনে তারা তিনজন।
গত ১৮ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় অভিযুক্ত মিজানকে প্রধান আসামি ও দুইজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী-২০২০) এর ৯ (১)/৩০ একটি মামলা দায়ের হয়।
সম্পর্কিত খবর
মামলার বাদি ও তার স্বামী বলেন, মামলার ২০ দিন পার হয়ে যাচ্ছে এখনো ১ জন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মেয়েটিও লোকলজ্জার ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তার পড়ালেখাও বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘ ৯ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়তে হয়েছে তাকে। তার অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে ডাক্তার। বর্তমানে ভালো আছে। তবে কারো সাথে কথা-বার্তা বলে না। চুপচাপ থাকে সারাদিন। এ ৩ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীর মা-বাবা।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও আসামিরা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে পুলিশ বলছে যে কোনো সময় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর (সদর) পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড বদ্দার বাড়ীর বাসিন্দা নিজাম তার ছেলে মিঠু ও তাদের প্রতিবেশী রিক্সা-চালক আহসান ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী স্কুল ও কোচিং সেন্টারের আসা-যাওয়ার পথে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। ওই ছাত্রী সহজ-সরল প্রকৃতির তাই কাউকে কিছুই বলেনি।
হঠাৎ তার শারীরিক গঠন লক্ষ্য করে তার মা বিষয়টি বুঝতে পেরে অভিযুক্তদের আসামি করে থানায় মামলা করেন এবং সদর হাসপাতাল থেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলছাত্রী।
লক্ষ্মীপুর সদর (মডেল) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মামলার আসামিরা কৌশলে আত্নগোপনে চলে গেছে। আসামিদের ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি