• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

মনিরামপুরে নির্বাচিত দুই মেম্বরের শপথ অনিশ্চিত

প্রকাশ:  ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৪৫
মনিরামপুর প্রতিনিধি

যশোর মনিরামপুরের ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিতদের শপথ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী রোববার (৯ জানুয়ারি)। নবনির্বাচিত ২০৮ জন জনপ্রতিনিধির শপথে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও দুওয়ার্ডের সাদারণ সদস্য (মেম্বর) পদের ঘোষিত ফলাফল নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকায় দুই মেম্বরের শপথ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। নির্ধারিত সময়ে তারা শপথ নিতে পারছেন না বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে শপথে অংশ নিতে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচিতদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। রোহিতা ও ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত দুই ইউপি সদস্যকে চিঠি দেওয়া হয়নি বলে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে দায়িত্বশীলদের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নবনির্বাচিত ১৬ জন ইউপি চেয়ারম্যানদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন বিকেলে মনিরামপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১৯০ জন সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ সদস্যদের (মেম্বর) শপথ অনুষ্ঠিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চেয়ারম্যানদের শপথ পড়াবেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। বিকেল ৩টায় ৪৮ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যকে ও বিকেল চারটায় ১৪২ জন সাধারণ সদস্যদের (মেম্বর) শপথ পড়াবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ জাকির হাসান। নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহণে উপস্থিত সংক্রান্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান স্বাক্ষরিত চিঠির কপি শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে এ প্রতিবেদকের হাতে পৌঁছেছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর মনিরামপুরের ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে হরিহরনগর ইউনিয়ন বাদে বাকি ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর নবনির্বাচিত ১৬ জন চেয়ারম্যান, ৪৮ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য ও ১৪৪ জন সাধারণ সদস্য মোট ২০৮ জনের নামে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। গেজেট প্রকাশ পেলেও আদালতে মামলা চলমান থাকায় দুই ইউপি সদস্যের শপথ না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা শপথে অংশ নেওয়া সংক্রান্ত কোন চিঠি পাননি।

নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২৮ নভেম্বর মনিরামপুরে অনুষ্ঠিত হওয়া ইউপি নির্বাচনে ফলাফল কারচুপির অভিযোগ এনে রোহিতা ইউনিয়নের চার নম্বর (রোহিতা) ওয়ার্ড ও ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের ছয় নম্বর (সুবলকাটি) ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ও সোহরাব হোসেন আদালতে মামলা করেছেন। মামলা দুটি আমলে নিয়ে আদালত বাদীর পক্ষে রায় দিয়েছেন।

উচ্চ আদালতে রীট আবেদনকারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, রোহিতা চার নম্বর ওয়ার্ড থেকে টর্চ লাইট প্রতীকে আমি অংশ নিয়েছি। কেন্দ্রে দায়ত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ফলাফল কারচুপি করে টিউবওয়েলের প্রার্থী মেহেদী হাসানকে ৩ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এ অভিযোগে আমি হাইকোর্টে রীট আবেদন করেছি। আদালত আমার আবেদন আমলে নিয়ে গেজেট স্থগিত ও ভোট পুনঃগণনার আদেশ দিয়েছেন।

এ দিকে ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের ছয় নম্বর (সুবলকাটি) ওয়ার্ডের পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী সোহরাব হোসেন বলেন, ভোটে আমি মোরগ মার্কা প্রতীকে ১৩ ভোটে জয়লাভ করেছি। কিন্তু প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ফলাফল কারচুপি করে তালা প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর সিদ্দিকীকে ১২ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ফলাফল না মেনে আমি যশোর নিম্ন আদালতে মামলা করেছি। আদালত দু’দফা আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন। আলমগীর সিদ্দিকী যাদে পরিষদে বসতে না পারেন সে জন্য ব্যবস্থা নিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।

মনিরামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, মামলা চলমান থাকায় রোহিতা চার নম্বর ও ঢাকুরিয়া ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী দুই মেম্বর প্রার্থীর শপথ না হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

শপথের বিষয়ে জানতে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসানের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


পূর্বপশ্চিমবিডি/জিএস

মনিরামপুর,নির্বাচন

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close