পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানায় পুলিশ হেফাজতে হিমাংশু নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।পরিবারের দাবি, টাকা না পেয়ে নির্যাতনে তাকে হত্যা করেছে পুলিশ। এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামালকে। এর আগে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) হাতীবান্ধা থানায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
সম্পর্কিত খবর
নিহত হিমাংশু রায় হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা গ্রামের বাসিন্দা।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামালকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। থানার সিসি ক্যামেরা সংক্রান্ত, পুলিশের দায়িত্ব অবহেলাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এ কমিটি তদন্ত করবে।এ সপ্তাহের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে হিমাংশুর স্ত্রী সাবিত্রী রানী নিজ বাড়িতে খুন হয়েছেন বলে জানতে পারেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে হিমাংশুকে তার স্ত্রীর মরদেহর পাশে দেখতে পান। পরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ লাশসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হিমাংশু ও তার বড় মেয়ে পিংকীকে (১৩) থানায় নিয়ে যায়।
নিহত হিমাংশুর বাবা বিশেশ্বর বর্মণ বলেন, শুক্রবার দুপুরে ছেলেকে থানায় দেখতে গেলে পুলিশ আমার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে পারলে ছেলে ও নাতনি পিংকীকে ছেড়ে দেওয়া হবে।না দিতে পারলে তাদেরকে জেলে পাঠানো হবে।
তিনি আরো বলেন, থানা থেকে ফেরার আগে ওইদিন বেলা দেড়টার দিকে হিমাংশুর সাথে সর্বশেষ দেখা হয়। ওই সময় হিমাংশু আমাকে বলে বাবা পুলিশ আমার কাছে এক লাখ টাকা চেয়েছে। টাকা দিলে ছেড়ে দিবে, না দিলে আমাকে ও আমার মেয়েকে জেলে পাঠিয়ে দিবে।
টাকা চাওয়ার বিষয়টা ভিত্তিহীন দাবি করে হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, হিমাংশু থানার কক্ষে থাকা ওয়াইফাই এর তার গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এএন