জন্ম-মৃত্যু সনদ সেবায় প্রথম মনিরামপুর পৌরসভা
জন্ম-মৃত্যু সনদ সেবায় একেবারে পিছিয়ে ছিল মনিরামপুর পৌরসভা। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বেঁধে দেওয়া লক্ষমাত্রা কখনো অর্জন করতে পারেনি এ পৌরসভা। হঠাৎ জন্ম-মৃত্যু সনদ সেবায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে এখানে। জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে সদ্য প্রকাশিত তালিকায় এ সেবায় জেলার সব ইউনিয়নের মধ্যে প্রথম হয়েছে মনিরামপুর পৌরসভা।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) প্রকাশিত চলতি মাসের ১ থেকে ১০ তারিখের ফলাফলে দেখা গেছে জেলার প্রথম ২০ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪৬ দিন থেকে ১ বছর বয়সী শিশুর জন্ম সনদ প্রদানে প্রথম স্থানে রয়েছে মনিরামপুর পৌরসভা।
সম্পর্কিত খবর
গত ১১ দিনে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে মনিরামপুর পৌরসভাকে ৪৬ দিন থেকে ১ বছর বয়সী শিশুর জন্ম সনদের জন্য ৪৭ জনের লক্ষমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে পৌরসভা ১৩০ জনের জন্মসনদ দিতে সক্ষম হয়েছে। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে ৯৩ টি বেশি। মৃত্যু সনদে ১৩ লক্ষমাত্রার বিপরীতে ১৮ টি সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে এ পৌরসভা।
এদিকে শূণ্য থেকে ৪৫ দিন বয়সী শিশুর জন্ম সনদ প্রদানে বরাবরের মত জেলায় এবারও প্রথম হয়েছে মনিরামপুরের রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদ। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়ন। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে মনিরামপুর পৌরসভা।
জন্ম-মৃত্যু সনদ প্রদানে দুই ক্যাটাগরিতে মনিরামপুর পৌরসভার প্রথম ও চতুর্থ স্থান অর্জন গেল ১৩ বছরে এবারই প্রথম। এরআগে ২০০৮ সালে চালু হওয়া এ সেবায় কোন বারের ঘোষিত তালিকায় তাদের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর পৌরসভার এ সেবায় এমন অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হরেকৃষ্ণ অধিকারীর আন্তরিকতায়। এমনটি মনে করেন পৌরসভা কার্যালয়ের উদ্যোক্তা সবুজ হোসেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মনিরামপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, দুমাস আগে পৌরসভায় যোগদান করেছি। গেল সপ্তাহে জন্ম-মৃত্যু সনদ সেবা জোরদার করতে উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করেছি। তারপর থেকে ৫-৬ জন উদ্যোক্তা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, অনলাইন জন্ম-মৃত্যু সনদ চালু হওয়ার পর গত ১৩ বছরে পৌরসভার এ সেবার মান নাজুক ছিল। সবার আন্তরিকতায় একবারে জন্ম-মৃত্যু সনদ সেবায় জেলায় প্রথম স্থানে উঠে এসেছে মনিরামপুর পৌরসভা। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আমরা চেষ্টা করব।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জিএস