মনিরামপুরে ১২ বন্যপ্রাণি উদ্ধার, বন্দীর দায়ে জেল-জরিমানা
যশোরের মনিরামপুরের ঝাঁপা ভাসমান সেতুর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত ঝুমা চিড়িয়াখানায় অভিযান চালিয়ে ১২টি বন্যপ্রাণি উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় প্রাণিগুলো খাঁচাবন্ধী করার অপরাধে সামছুদ্দীন সরদার নামে এক ব্যক্তিকে দুই মাসের সাজা ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক।
সম্পর্কিত খবর
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী অভিযান চালিয়ে এ দণ্ড দেন। অভিযান র্যাব-৬ খুলনা সদর দপ্তরের একটি দল ও বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সামছুদ্দিন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের তালেব আলী সরদারের ছেলে। ২০১৭ সালে ঝাঁপা বাঁওড়ের উপরে ভাসমান সেতু হওয়ার পর থেকে তিনি বাঁওড়ের পশ্চিম পাড়ে জমি ইজারা নিয়ে ঝুমা চিড়িয়াখানা নামে একটি ছোট্ট চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেন।
উদ্ধার প্রাণিগুলোর মধ্যে রয়েছে, দুটি বানর, একটি উল্লুক, একটি সজারু, একটি মেছো বিড়াল, একটি গন্ধগোকুল, একটি অজগর, দুটি খৈয়া গোখরা ও তিনটি তিলা ঘুঘু। উদ্ধার প্রণিগুলো বনে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালে রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়ের উপর একটি ভাসমান সেতু নির্মিত হয়। এরপর বছর জুড়ে এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় জমতে শুরু করে। সেই সুযোগে সেতুর পশ্চিম পাড়ে জমি ইজারা নিয়ে মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলেন সামছুদ্দিন। তিনি দর্শনার্থীপ্রতি ১০-২০ টাকা আদায় করতেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, বন্যপ্রাণি খাঁচাবন্দি করার অপরাধে সামছুদ্দিনকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উদ্ধার প্রণিগুলো বন্য প্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা অঞ্চলের পরিদর্শক রাজু আহমেদের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রাণিগুলো যথাস্থানে অবমুক্ত করবেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জিএস