ডাবল টিকায় অসুস্থ ৫ শিক্ষার্থীর খোঁজ নেয়নি স্বাস্থ্যবিভাগ

লালমনিরহাটে ভুলবশত করোনার ডাবল ডোজ টিকা দেওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ ৫ শিক্ষার্থীরা। সপ্তাহ ধরে তারা অসুস্থ থাকলেও খোঁজ রাখেনি স্বাস্থ্যবিভাগের কেউ। বরং শিক্ষার্থীরা মিথ্যা কথা বলছে বলে দাবি স্বাস্থ্যকর্মীদের।

জানা গেছে, গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা প্রদান ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই দিন টিকা দিয়ে চলে যাওয়ার সময় খোরশেদ আলম, লিমন মিয়া, আতিকুর রহমান, ইমতিয়াজ আহম্মেদ ও মমিনুল ইসলামসহ ৫ শিক্ষার্থীকে এক স্বাস্থ্যকর্মী ডেকে নিয়ে আবারো একটি টিকা দেন। শিক্ষার্থীরা ডাবল ডোজ টিকা দেওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে তারা ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। এতে কিছু হবে না বলে ওই টিকাদান কেন্দ্রের কতিপয় স্বাস্থ্যকর্মী তাদেরকে আশ্বাস্ত করেন।

টিকা নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর ওই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীদের পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে সিভিল সার্জনের সাথে যোগযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু ফোনে না পেয়ে, সদর হাসপাতালে নিয়ে যান শিক্ষার্থীদের। সেখানে প্রায় ঘন্টাখানেক রেখে চিকিৎসা দেয়ার পর তাদের আবারো বাড়িতে পাঠিয়ে দেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ওইদিন বিষয়টি কাউকে না জানাতে হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক শিক্ষার্থীদের পরিবারকে নিষেধ করেন। অভিভাবকদের অভিযোগ ১ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালের বা স্বাস্থ্যকর্মীরা কেউ খোঁজ নেয়নি।

শিক্ষার্থী মমিনুল ইসলাম বলেন, টিকা দেয়ার শেষে আমি চলে আসছিলাম। এক হাতে টিকা দেয়া হয়েছে, এ কথা বলার পরেও ম্যডাম ডেকে আরেক হাতে টিকা দিয়ে দিয়েছেন। পরে বাড়িতে এসেই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা রহিম মিয়া বলেন, করোনা টিকা দিয়ে বাড়িতে আসার পর অসুস্থ হয়ে যায় আমার ছেলে। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসকরা ভুল করে ডাবল টিকা দিল, অথচ তারাই আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। আমরা নাকি এটা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করছি। যারা এই ভুল করেছে আমি তাদের শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করে বলেন, ডাবল ডোজ টিকা দেয়ার কোন উপায় নেই। এটি হয়তো তারা ভুল বলছেন। আর নিলেও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার কথা নয় এবং আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

তিনি আরো বলেন, তবে টিকা গ্রহণে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এএন