ধর্ষণের ছবি ছড়িয়ে দেওয়ায় কবিরাজের কারাদণ্ড
ইন্টারনেটে ধর্ষণের ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে নাটোরের কথিত কবিরাজ আল আমিন অকিলকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুই কিশোরী ও ৯ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামি পলাতক ছিলেন।
সম্পর্কিত খবর
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ইসমত আরা জানান, দুই তরুনীকে ‘ধর্ষণ’ ও ‘ধর্ষণের’ ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন মোবাইলে ছড়ানোর অভিযোগে নাটোরের কথিত কবিরাজ আল আমিন অকিলকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
তিনি আরো বলেন, ২০১৫ সালে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার চান্দাই গ্রামের আসাদুল বারী ঝোলন সরদারের পুত্র কথিত কবিরাজ আল আমিন ওরফে অকিল সরদার দুই কিশোরীকে কৌশলে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে কবিরাজি করার নামে ধর্ষণ করে। তাদের ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে প্রায়ই তাদের ডেকে ধর্ষণ করতে থাকে। পরে তার ডাকে দুই কিশোরী আর সাড়া না দিলে তাদের ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়।
ইসমত আরা জানান, বিষয়টি জানার পর ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর এক তরুণীর পিতা বাদী হয়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন।
পূর্বপশ্চিম/এএন