• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

ধামরাইয়ে শিম চাষে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশ:  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:১৫ | আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:১৮
সাভার প্রতিনিধি

চলতি মৌসুমে শিম চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন ধামরাইয়ের কৃষকরা। ভালো ফলন ও বেশি দামে বিক্রি করতে পারায় তারা ভীষণ আনন্দিত। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া শিম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ফলন ভালো হওয়ায় প্রতিবছর বাড়তে শুরু করেছে শিম চাষীর সংখ্যা।

ধামরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছরে শিম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৬৪ হেক্টর জমিতে। এই অঞ্চলে আগাম চাষের জন্য ‘বারি শিম-১’ ও ‘ঝাড় শিম’ নামের দু’টি জাতের শিম চাষ করা হয়। জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাসের দিকে শিমের বীজ বপন করেন চাষীরা।

সাধারণত বীজ বপনের ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে শিমের লতায় ফুল আসতে শুরু করে। অতি বর্ষা না হলে প্রায় ৬ মাস স্থায়ী হয় শিমের মাচা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ফুলে ফুলে শোভা পাচ্ছে শিমের মাচাগুলো। শিমের রুগ্ন ফুল ছাড়িয়ে ফেলা, ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করা এবং কীট-পতঙ্গ প্রতিরোধসহ নানা কাজে সময় পার করছেন শিম চাষীরা।

উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামের শিম চাষী আব্দুল মালেক বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে শিম চাষ করে আসছি। কম বেশি প্রতি বছরই লাভবান হচ্ছি। এ বছর বাজারে শিমের দাম ভালো। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। এ বছরে ১ বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। শিম বিক্রি করে পেয়েছি ৪২ হাজার টাকা। আশা করছি আরো ৩০-৪০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবো।

একই গ্রামের শিম চাষী আব্দুল মান্নান জানান, ২০ শতাংশ জমিতে খরচ হয়েছে ১০-১২ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ২০-২৫ হাজার টাকার শিম বিক্রি করছেন। আশা করছেন এবছর অন্য বছরের তুলনায় বেশি লাভ হবে।

উপজেলার হাতকোড়া গ্রামের শিম চাষী সহিদুল ইসলাম বলেন, ১০ কাঠা জমি বর্গা নিয়া শিমের বীজ বুনেছি। আমার ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হইছে। এপর্যন্ত ২১ হাজার টাকার শিম বিক্রি করছি। আরো ১০-১৫ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারমু। শিম বিক্রি কইরা ভালোভাবেই সংসার চালাইতেছি।

ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হাসান বলেন, সবজির মধ্যে শিম হচ্ছে খুবই উপকারী সবজি কারণ হচ্ছে এর পুষ্টিমান বেশি থাকে। পাশাপাশি শিম গাছের গোড়ার মধ্যে নডিউল থাকে, এই নডিউলটার মধ্যে কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে। যে ব্যাকটেরিয়াগুলো বাতাস থেকে নাইট্রোজেন নিয়ে নডিউল এর মধ্যে জমা রাখে এবং ব্যাকটেরিয়ার জীবনকাল যখন শেষ হয়ে যায় তখন মাটির সাথে মিশে যায়। এতে একদিকে পুষ্টিমান বেশি থাকে অন্যদিকে মাটির উর্বরতা শক্তি অনেক বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য শিম একটা ভালো উপকারী সবজি হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত।

এবছর প্রচুর শিমের উৎপাদন হয়েছে ও যথার্থ দামে বিক্রি করতে পেয়ে চাষীরা খুবই খুশি বলে জানান এই কর্মকর্তা।


পূর্বপশ্চিম/এএন

ধামরাইয়ে শিম চাষে কৃষকের মুখে হাসি,ঢাকার ধামরাই,শিম চাষ,চাষী

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close