• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

কুড়িগ্রামে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী

প্রকাশ:  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭:৩৬
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে কনকনে শীত আর উত্তরীয় ঠান্ডা বাতাসে কাহিল হয়ে পড়ছে শ্রমজীবী মানুষগুলো। দিনে সূর্যের আলো কিছুটা দেখা গেলেও বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা হাওয়ার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডার ফলে আগুন জ্বালিয়ে শীতকে নিবারণের চেষ্টা করছেন শীতার্ত মানুষগুলো। সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে যায় গোটা এলাকা। প্রতিদিন হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু এবং বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি।

জেলার উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই রঘুরায় গ্রামের কৃষক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ঠান্ডার ফলে কামলা (কাজের লোক) পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও পুরোদিনের কাজ করা সম্ভব হয় না। কিছুক্ষণ পর পর তাদেরকে বিশ্রাম নিতে হয়। ফলে কাজ এগোয় না।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের খলিলগঞ্জ বাজারের ফার্মেসি ব্যবসায়ী প্রিন্স ও রোকন জানান, এই এলাকায় ঘরে ঘরে শিশুদের সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন রোগীর চাপে হিমসিম খাচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিনই গড়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি ঠান্ডাজনিত রোগীর প্রেসক্রিপশন পাচ্ছি আমরা।

খলিলগঞ্জ কাশিয়াবাড়ী এলাকার গৃহিণী আলতাফুননেছা জানান, ঠান্ডাতে শিশুর পাতলা পায়খানা হয়েছে। এই পাড়ায় শিশুদের জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ বেড়েছে। এছাড়াও ঠান্ডা পানি ব্যবহার করায় মহিলাদের হাতে-পায়ে ঘা দেখা দিচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে ও আউটডোরে প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ও ডায়রিয়া আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন চিকিৎসা নিচ্ছে।

জেলার রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিছুর রহমান জানান, ধীরে ধীরে শীতের প্রকোপ কমছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসতে পারে। বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


পূর্বপশ্চিম/এএন/এসকে

কুড়িগ্রাম,ঠান্ডা,জনিত,রোগ,রোগী

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close