রাত পোহালেই শেষ ধাপের ইউপি ভোট
অষ্টম ও শেষ ধাপে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন বৃহষ্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি)। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ চলবে।
এদিকে অষ্টম ধাপের ইউপির ভোট উপলক্ষে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি ইউপিতে তিনজন করে ম্যাজিট্রেট মাঠে কাজ করছেন।
সম্পর্কিত খবর
তারা আজ থেকে ভোট পরবর্তী দিন পর্যন্ত মাঠে থাকবেন। কোন ধরনের নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ বা সহিংসতা এড়াতে তাদের সঙ্গে থাকছে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসারের বিশাল বাহিনী। তাৎক্ষনিক সাজা দিতে মাঠে কাজ করবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের প্রচার প্রচারণা। বন্ধ রয়েছে মোটর সাইকেলসহ যন্ত্রচালিত যান চলাচল। নির্বাচন ঘিরে এলাকায় উৎসবের সঙ্গে শঙ্কাও বিরাজ করছে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী, প্রতিটি কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ২০-২২ জন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। সাতটি ইউপিতে ভোট উপলক্ষে ১০ প্লাটুন বিজিবি, ১২টি র্যাবের টিম ও পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ও কোস্টগার্ডের ২০ টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে কাজ করবে।
অষ্টম ধাপে ৮টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোলার লালমোহনের বদরপুর ইউপির ভোট স্থগিত হওয়ায় এ ধাপে সাতটি ইউপিতে ভোট নেওয়া হবে বলে ইসি জানিয়েছে। সেগুলো হলো- ঢাকার কেরানীগঞ্জের তারানগর, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলী, হাতিয়ার সুখচর ও নলচিঁড়া, সুবর্ণচরের চর জব্বর ও চর জুবলি এবং শৈলকুপার নিত্যানন্দপুর।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, অষ্টম ধাপে সবগুলো ইউপিতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে। এরই মধ্যে গত ৭ ধাপের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটিই হবে বর্তমান নূরুল হুদা কমিশনের শেষ নির্বাচন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এ কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
পূর্ব পশ্চিম/জেআর