পাইকগাছায় ৪ বছর ধরে অবরুদ্ধ তিন পরিবার
পাইকগাছায় যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় ৪ বছর ধরে এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে জীবন-যাপন করছে তিনটি পরিবার। ফলে অন্যের জমির আইল দিয়ে চলাচল করলেও মসজিদে নামাজ পড়তে পারছেন না বয়োবৃদ্ধরা। এছাড়া নিয়মিত স্কুলে যেতে না পেরে পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম ছেলে-মেয়েদের।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সমস্যা সমাধানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও এমপির সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পর্কিত খবর
অভিযোগে জানানো হয়েছে, উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের হোগলার চক গ্রামে ইউনুস শেখ (৭০) সহ ৩টি পরিবারের ৯ জন সদস্য প্রায় ৬০ বছর ধরে বসবাস করছেন। প্রথম থেকেই যাতায়তের জন্য নিজস্ব কোন রাস্তা না থাকায় প্রতিবেশীদের ঘরোয়া পথই ছিল তাদের চলাচলের একমাত্র জায়গা। তবে সেটাও বন্ধ রয়েছে বছর চা’রেক হলো। নিজেদের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে প্রায় ৪ বছর আগে পথটি বন্ধ করে দেন প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম ঢালী গং। আর সেই থেকেই ইউনুছ শেখের পরিবারটি এক প্রকার অবরুদ্ধ রয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে পরিবারের অন্য সদস্যরা পরের জমির আইল দিয়ে বাইরে আসলেও পায়ে হেঁটে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া হচ্ছে না তার। পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
বয়োবৃদ্ধ ইউনুছ শেখ জানান, দীর্ঘদিন মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া হয় না তার। শেষ সময়ে মসজিদে জামায়াতে নামাজ পড়তে না পেরে মন কাঁদে তার। এছাড়া দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ির ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে না পারার কষ্ট সইতেও কষ্ট হয় তার। তিনি এর স্থায়ী সমাধান চান।
প্রতিপক্ষ শহিদুল ঢালী বলেন, তারা যে পথ দিয়ে চলতেন জমির চাষীরা সেটা কেটে দিয়েছে। বর্তমানে তারা আমাদের বাড়ীর উপর দিয়ে যাতায়াত করছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু বলেন, অভিযোগ পেয়ে সেখানকার সর্বশেষ অবস্থা ও অবরুদ্ধ পরিবারটিকে দেখতে গিয়েছিলাম। পথ না পেয়ে বিলের মধ্যে জমির আইল দিয়ে সেখানে যেতে হয়েছিলো।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সংসদ সদস্যর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
পূর্বপশ্চিম/এসকে