• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

ভারতের সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক: হানিফ

প্রকাশ:  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৩:১৭
অনলাইন ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আত্মার সম্পর্ক, এ সম্পর্ক কোনভাবেই ছিন্ন হওয়ার নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষদের মাঝে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এ সম্পর্কে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুষ্টিয়ায় ‘রোটারি ক্লাব অব কুষ্টিয়া’কে ভারতের পক্ষ থেকে দেয়া অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়ায় ভারতের প্রশংসা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ভারত সরকারের কাছ থেকে এর আগেও আমরা আরো ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স পেয়েছি। দুঃসময়ে যারা পাশে থাকে তারাই প্রকৃত বন্ধু। ভারত আবারো সেই প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় দিয়েছে ।

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, করোনা মহামারিতে যখন সারাবিশ্ব বিপর্যস্ত। যখন বিশ্বের অনেক ধনী-সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র কাউকে সাহায্য করছিলো না, ঠিক তখনই বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সাহায্য করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, অসাধারণ দক্ষতা আর বিচক্ষণতার মধ্য দিয়ে তিনি শুধু ভারত নয়, গোটা ভারতবর্ষসহ সারাবিশ্বের মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। ভারত-বাংলাদেশের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সেটাকে আরো বহুমাত্রিক রূপে নিয়ে গেছেন নরেন্দ্র মোদি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিনিয়র এই নেতা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক কোন মাত্রায় তা ব্যাখ্যা করা কঠিন। আমাদের এই সম্পর্কের মাত্রা অনেক অনেক গভীর।

তিনি আরো বলেন, ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করতে হাজী শরীয়ত উল্লাহ, তিতুমীর, মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা ,বাঘাযতীনসহ আরো অনেক বীর সেনানী লড়াই করেছেন। তখন কে হিন্দু কে মুসলমান কিংবা বৌদ্ধ-খ্রিস্টান তা কেউ দেখেনি। সবাই ছিল ভাই ভাই। সবাই নিজেকে এই মাতৃভূমির সন্তান মনে করেছে। ধর্মীয় কাদা ছোড়াছুড়ি না করে সবাই এক সাথে লড়াই করেছে বলেই ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি লাভ করেছে।

হানিফ বলেন, সেই থেকে আমাদের আন্দোলনের যাত্রা শুরু। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই বাংলাকে মুক্ত করার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন- ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদেরকে স্বাধীনতা দেব’।

তিনি আরো বলেন, সেই আত্মার বন্ধন আমরা ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেখেছি। ১৯৭১ সালে আমাদের এই দুই বাংলার নিবিড় সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে। আমরা দুই দেশের মানুষ যে একে অন্যের পরিপূরক তা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা এক কোটি মানুষ সহায়-সম্বল হারিয়ে ওই সময় ভারতে গিয়েছিলাম। আমাদের পাশের দেশ মায়ানমার সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা আজ বাংলাদেশে এসেছে। কি অসহায় তাদের জীবন ছিল, বাস্তুহারা হয়ে তারা এ দেশে এসেছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবতার দুয়ার খুলে দিয়েছেন। তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ঠিক তেমনিভাবে ওই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী ইন্দিরা গান্ধী ভারতের দুয়ার খুলে দিয়ে এদেশের মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। এটি আসলে ভুলার নয়। এ ঋণ শোধ করার নয়।

হানিফ বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৮ হাজারের বেশি ভারতীয় সেনা প্রাণ হরিয়েছেন। তাদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলো বাংলার ভূমি। ওই সময় ভারতের মহান নেত্রী আমাদের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, অস্ত্র দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সারা বিশ্বে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছিলেন। ভারতীয় সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি অকৃত্রিম বন্ধুর মতন কাজ করেছিলেন। যা বাংলাদেশ কখনো ভুলবে না।

পূর্ব পশ্চিম/জেআর

হানিফ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close