অবশেষে থামলো বিগড়ে যাওয়া সেই হাতির তাণ্ডব
অবশেষে ২৪ ঘণ্টা পর ট্র্যাঙ্কুলাইজার যন্ত্রের মাধ্যমে লালমনিরহাটে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) আয়োজিত শিল্প মেলায় আনা হাতিটিকে অচেতন করা সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ডক্টর তপন কুমার দের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি টিম এসে হাতিটিকে অচেতন করে।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে সোমবার বেলা ১১টার দিকে হাতিটি পায়ের শিকল ছিঁড়ে মেলা থেকে বেরিয়ে শহরের সাহেবপাড়ায় তাণ্ডব শুরু করে।
স্থানীয়রা জানায়, লালমনিরহাট পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) আয়োজিত শিল্প মেলায় আনা হাতিটি হঠাৎ করে পায়ের শিকল ছিঁড়ে শহরে বেরিয়ে পড়ে। এ সময় হাতিটি দোকানপাটে ভাঙচুর চালালে বেশ কয়েকজন আহত হয়। অনেক চেষ্টার পরেও হাতিটি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে সার্কাস দলের সদস্যরা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। অবশেষে বন বিভাগের কর্মকর্তারা হাতিটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইজার যন্ত্রের মাধ্যমে অচেতন করে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সার্জন তপন কুমার দে বলেন, ট্রাঙ্কুলাইজার গান দিয়ে অচেতন করার ওষুধ প্রয়োগের পর হাতিটি দৌড়ে বাঁশ বাগানে আশ্রয় নিয়েছে। হাতিটি প্রায় এক সপ্তাহ অচেতন থাকবে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক জানান, জ্ঞান ফেরার পর যদি হাতিটি পুনরায় পাগলামি শুরু করে, তবে হাতিটিকে ট্রাক কিংবা অন্য কোনোভাবে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হবে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর বলেন, সার্কাসের হাতি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে শহরের অনেক ক্ষতি করেছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা আবেদন করলে তদন্ত সাপেক্ষে অনুদান দেওয়া হবে।
পূর্বপশ্চিম/এনজে/এসকে