• রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

জৈন্তাপুরে পাহাড়ি রেমার জমজমাট বাণিজ্য

প্রকাশ:  ০২ মার্চ ২০২২, ১২:১৯
আবুল কাশেম রুমন, জৈন্তপুর

সিলেটের জৈন্তাপুরে পাহাড়ি রেমার বাণিজ্য জমে উঠেছে। স্থানীয় জৈন্তাপুর বাজারে বাসা বাড়িতে ঝাড়ু ব্যবহারে ও মৌসুমে প্রতিবছর জমে উঠে রেমার বেচাকেনা।

সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলের টিলা বা পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবেই উলু ফুল জন্মায়। আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় রেমা। আর রেমা দিয়ে ঝাড়ু তৈরির পর সেটাকে বলে ‘রেমার হুরইন’। বাজার থেকে ক্রয় কিংবা পাহাড় থেকে সংগ্রহ করার পর বাড়িতে মহিলারা রোদে শুকিয়ে তারপর তৈরি করেন ঝাড়ু। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের পূর্ব বাজারে চলছে রেমার বেচাকেনা। রেমার এই ক্রয়-বিক্রয় চলবে এপ্রিল পর্যন্ত। উপজেলা কৃষি বিভাগ মনে করছে, এই উলুফুল বা রেমা জৈন্তাপুর উপজেলার পাহাড়গুলোতে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করলে স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

প্রকৃতিগতভাবে পাওয়া ফুলের এই ঝাড়ু সংগ্রহ করে সীমান্তবর্তী জনপদের শতাধিক পরিবার। তাদের জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে থাকে এসব পণ্য বিক্রি করে। সীমান্তবর্তি ছোট -ছোট টিলাগুলোতে মাটি থেকে ফুঁটে উঠা এই ফুলের ঝাড়ুর কদর গৃহস্থালী কাজ ছাড়াও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে নির্মাণ কাজে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে এই ফুলের ঝাড়ু প্রবাসীরা বিভিন্ন দেশে নিয়ে যায় ব্যবহারের জন্য। তবে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিত্র কিছুটা ভিন্ন।

এখানকার ছোট-বড় পাহাড়গুলোতে যৎ সামান্য ফুলের রেমা পাওয়া গেলেও অধিকাংশ রেমা সংগ্রহ হয় প্রতিবেশী দেশ ভারতের সীমান্ত থেকে। শুধু তাই নয়, এই রেমা তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের মেঘালয় থেকে প্রচুর পরিমাণে আমদানি হয়ে থাকে। এতে সরকার পাচ্ছে নিয়মিত রাজস্ব। ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে গ্রাম কিংবা শহরের সর্বত্র রেমা ঝাড়ুর বেশ কদর রয়েছে।

নির্মাণ কাজের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং ঘর পরিষ্কার রাখতে সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর রয়েছে বেশ চাহিদা। ভবন নির্মাণে দেয়াল বা ফ্লোর আস্তর করার পর রেমার ঝাু দিয়ে পরিচ্ছন্ন বা ফিনিশিং করতে হয়। এতে এক তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি নির্মাণ কাজে কমপক্ষে ২০-৩০টি রেমার ঝাড়ুর প্রয়োজন হয়।

সিলেট

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close