• রোববার, ০২ জুন ২০২৪, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

খুলনায় প্রতিবন্ধীকে মাংস খাইয়ে জমি লিখে নিল ২ প্রতারক

প্রকাশ:  ২৬ মার্চ ২০২২, ১৬:২০
খুলনা প্রতিনিধি

খুলনার কয়রা উপজেলায় রফিকুল ইসলাম গাজী (৭১) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে মাংস খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে নিজ নামীয় ১৩ শতাংশ জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রফিকুল উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মৃত আনছার আলী গাজীর ছেলে। এ ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী রফিকুলের পরিবার।

অভিযোগে জানানো হয়, গত ১৬ মার্চ প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলামকে তার বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে একই গ্রামের হাবিবুর রহমান ও মহসীন গাজী নামের দুসম্পর্কের দুই ভাইপো মাংস খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর হোটেলে খাইয়ে কয়রা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ডেকে নিয়ে দলিলে টিপ স্বাক্ষর নিয়ে ওই প্রতিবন্ধীর নামীয় শেষ সম্বল ১৩ শতাংশ জমি লিখে নেয় হাবিবুর ও মহসীন। পরে রফিকুলের হাতে মাত্র ২৫০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে একটি ভ্যানযোগে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তারা। ঘটনা জানাজানির পর রেজিষ্ট্রি অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হয় রফিকুলের পরিবারের সদস্যরা।

এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধী রফিকুল গাজীর ছোট ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনা জানার পর প্রতিবেশী হাবিবুর ও মহসীনের কাছে জানতে চাইলে তারা প্রথমে অস্বীকার করে। পরে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে দলিলের সার্টিফাইড কপি তুলে আনা হলে তারা নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে তাদেরকে চুপ থাকতে বলে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারি জানান, ওই ব্যক্তি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী এটা এলাকার সকলেই জানেন। খুলনার একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে তার চিকিৎসা চলমান। এ অবস্থায় তার দুসম্পর্কের প্রতিবেশী দুই ভাইপো ফুঁসলিয়ে জমি কবলা দলিল করে নিয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে নিষ্পত্তির জন্য ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধীর পরিবারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে সাব-রেজিষ্ট্রার দিপঙ্কর দাস জানান, ওই ব্যক্তির অসুস্থতার কথা জানিয়ে দুজন লোক তার সামনে নিয়ে এসেছিল। তবে জমি রেজিষ্ট্রির ব্যাপারে তার সম্মতি পেয়েই তিনি তা অনুমোদন দিয়েছেন বলে দাবি করেন। তবে পরে তিনি জেনেছেন রফিকুল মানসিক প্রতিবন্ধী। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর পরিবারকে দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পূর্বপশ্চিম/এনএন

খুলনা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close