• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

খুলনা শিশু হাসপাতালে শয্যা সংকটে বিপাকে চিকিৎসকসহ আক্রান্তরা

প্রকাশ:  ০১ এপ্রিল ২০২২, ১১:৫৮
খুলনা প্রতিনিধি

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যায় খুলনা শিশু হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের পাশাপাশি নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা। শয্যা সংকটে অনেক অভিভাবকরা আবার নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না পেরে বাধ্য হয়ে ছুটছেন বেসরকারি হাসপাতালে।

যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শিশুসহ বয়স্করা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর ফলে খুলনাসহ আশপাশের জেলার মানুষ তাদের সন্তানের চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন খুলনা শিশু হাসপাতালে। এর ফলে শয্যা সংকটে নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকসহ সেখানকার সেবিকারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণে এখানে আসছেন। তবে আক্রান্তদের যাদের অবস্থা খুবই খারাপ তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। আর বাকিদের শয্যা সংকটে অন্যত্র যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শিশু হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. প্রদীপ দেব নাথ বলেন, ২৭২ শয্যা নিয়ে চলছে খুলনা শিশু হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। গত কয়েকদিনে কয়েকগুণ এ হাসপাতালে শিশু রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি বর্তমানে প্রতিদিন জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক রোগীর সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক এখনো কম রয়েছে। প্রতিদিন ১৪/১৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন এখানে। যদিও অন্যান্য বিভাগের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। তবে মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত এ রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি থাকে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, খুলনা বিভাগ ছাড়াও বরিশাল বিভাগ থেকেও চিকিৎসা সেবা নিতে রোগীরা এখানে আসছে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ বলে তিনি জানান।

বিভিন্ন রোগের প্রকোপ থেকে শিশুদের রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি অভিভাবকদের সর্তক করে বলেন, নিয়মিত শিশুকে গোসল করাতে হবে। আর মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই। এর পাশাপাশি তিনি শিশুদের প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

ডায়রিয়ার প্রকোপ থেকে শিশুসহ সকলকে রক্ষা পেতে তিনি বাসি ও পচা খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

জ্বরে আক্রান্ত শিশু হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ১২ দিন যাবত চিকিৎসাধীন পিরোজপুর ইকড়ি গ্রামের তানভীরের মা তানিয়া বেগম বলেন, এখানে আসার কয়েকদিন আগে থেকে তানভীর জ্বরে আক্রন্ত হয়। বাড়ি থেকেও ঔষধ গ্রহণ করে তার শরীর থেকে জ্বর নামেনি। সাথে খুশ খুশে কাশি ছিল। এখানে এসে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারেন বাচ্চা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। প্রথম দিকে রোগীর চাপে শয্যা সংকটে এখানে থাকার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বর্তমানে একটু চাপ কম রয়েছে। অনভিজ্ঞতার কারণে বাচ্চাটিকে নিয়ে এত বেগ পেতে হলো বলেও জানান তিনি।

পূর্বপশ্চিম/এসএন/এনএন

চিকিৎসক,খুলনা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close