• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

নওগাঁর স্কুলে ‘হিজাব বিতর্ক’: ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ:  ১৫ এপ্রিল ২০২২, ২২:৫৮ | আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২২, ২৩:০৫
অনলাইন ডেস্ক

গুজব ছড়ানো, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে মামলা করেছেন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আলোচিত শিক্ষক আমোদিনী পাল। ওই মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) এটিএম মাইনুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা কিউএম সাঈদ টিটো (৫০) ও কুশার সেন্টার পাড়া এলাকার বাসিন্দা কাজী সামছুজ্জোহা মিলন (৩৮)।

স্থানীয়রা জানান, পেশায় দুজনেই সাংবাদিক। কিউএম সাঈদ দৈনিক নওরোজ ও দৈনিক ডেলটা টাইমস পত্রিকার মহাদেবপুর উপজেলা প্রতিনিধি। আর সামসুজ্জামান মিলন দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার মহাদেবপুর উপজেলা প্রতিনিধি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলা করেন শিক্ষক আমোদিনী পাল। রাতেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কিউএম সাঈদকে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের লাইব্রেরিপট্টির নিজ বাড়ি থেকে এবং সামসুজ্জামান মিলনকে উপজেলা সদরের কুশার সেন্টারপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ দুপুরে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষক আমোদিনী পাল বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে হিজাব নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় করা ও বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে হামলার অভিযোগ করেন। মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আমোদিনী পালের করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টায় কিউএম সাঈদ ও সামসুজ্জামানকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের আমোদিনী পালের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি হিজাব পরায় দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল শিক্ষার্থীদের মারধর করেছেন— এমন অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই হামলার ভিডিও ভাইরাল হয়।

এ ঘটনায় প্রশাসনের করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গত সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্তে হিজাব পরায় ছাত্রীদের পেটানোর অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি কমিটি। স্কুলড্রেস পরে না আসার কারণে ওই দিন শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও আরেক শিক্ষক বদিউল আলম শিক্ষার্থীদের মারধর করেছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনার চার দিন পর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরনী কান্ত বর্মণ। জিডিতে ওই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ১৪০-১৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।

পূর্ব পশ্চিম/জেআর

হিজাব

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close