• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বোরো ধানে ব্লাস্টের আক্রমণে হতাশ কৃষক

প্রকাশ:  ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১৬:৩৭ | আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১৬:৪১
যশোর প্রতিনিধি

যশোরের মনিরামপুরে বোরো ধান পাকার আগ মুহূর্তে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কেবলমাত্র শীষ বেরিয়েছে এমন খেতে ব্লাস্টের আক্রমণে ধানের রঙ পরিবর্তন হয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ রোগে আক্রান্ত খেতে কাঁচা ধান দূর থেকে দেখতে পাকা মনে হচ্ছে। নানা বালাই নাশক ছিটিয়ে চাষি কোন উপকার পাচ্ছেন না। প্রয়োজনীয় পরামর্শও মিলছে না কৃষি কর্মকর্তাদের। ফলে হতাশায় ভুগছেন কৃষক।

মামুদকাটি গ্রামের ভ্যান চালক মোতালেব জমাদ্দার ভুট্ট লিজ ও ইজারা নিয়ে এবার চার বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। তার প্রায় দুই বিঘা জমিতে ব্লাস্টের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। টেংরামারী বিলে ১৮ কাঠার খেতের মধ্যে ১৫ কাঠার ধানে ব্লাস্টের আক্রমণে শেষ হয়ে গেছে। বাকি ২৪ কাঠা আক্রান্ত হয়েছে পাশের একটি মাঠে।

মোতালেব জমাদ্দার বলেন, চার বিঘা ধানের মধ্যে দুই বিঘায় রোগ লেগেছে। ধান গাছের মাঝখান কালো হয়ে শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে। সকাল বিকেল বারবার স্প্রে করতেছি। কোনো কাজ হচ্ছে না। টেংরামারী মাঠের ১৫ কাঠা একে বারে শেষ হয়ে গেছে। খেতে কাঁচি নেওয়া লাগবে না মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, কৃষি অফিস থেকে বোরোর বীজ আর সার দিছিল। সে বীজ দিয়ে বীজতলা তৈরি করে পরে রোপন করিছি। অফিসের বীজের খেত এটি। কোন জাতের বীজ তা বোঝা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, কৃষি অফিসের কাউকে কোন সময় দেখি না। দোকানে যেয়ে বললে যে বিষ দেয় তা আইনে ছিটাচ্ছি। কোন কাজ হচ্ছে না।

কৃষি অফিসের সূত্রমতে মনিরামপুরে চলতি মৌসূমে ২৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ধানের বাজার দর ভাল হওয়ায় এ বছর লক্ষমাত্রার বেশি বোরো আবাদ হয়েছে। উপজেলা জুড়ে সব মাঠে বাতাশে দুলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। এরমধ্যে মাজরা, ব্লাস্ট ও ইঁদুরের উৎপাতে হতাশ কয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। উপজেলার সব মাঠে কম বেশি ধানের খেত এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

রঘুনাথপুর মাঠের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ধান পাক ধরেছে। গত বৃহস্পতিবার যেয়ে দেখি দুই বিঘা জমিতে ব্লাস্ট দেখা দিয়েছে। সাথে সাথে ১ হাজার ২০০ টাকার বিষ কিনেছি ছিটানোর জন্য।

তিনি বলেন, কোন সময় কৃষি অফিসের লোকজনের দেখা আমরা পাইনা। ধানে রোগ হলে নিজেদের মত করে বালাইনাশক দিই।

কৃষক জাকির হোসেন বলেন, মাঠের প্রায় সব ধান খেতে টুকটাক রোগ দেখা দেছে।

খেদাপাড়া ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, খবর পেয়েছি টেংরামারী বিলে কিছু ব্লাস্ট দেখা দেছে। আমরা কৃষকদের টুপার নামক এক ধরণের বালাই নাশক ছিটাতে বলেছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ধান থাকলে তাতে রোগও থাকবে। এবার বিভিন্ন মাঠে বিচ্ছিন্নভাবে হালকা কিছু ব্লাস্ট দেখা দিয়েছে। টেংরামারী বিলে গেল বোরো মৌসুমেও ব্লাস্ট দেখা দিয়েছিল। আমি নিজে যেয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে এসেছি। যে কোন প্রয়োজনে তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলেছি। কিন্তু কৃষক অফিসে আসে না।

এ কর্মকর্তা দাবি করেন, আমাদের উপসহকারীরা সবসময় মাঠে থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেন।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এএইচ/জেএস

যশোর

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close