• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ইট ভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় ফসল ও ফলজগাছ ক্ষতিগ্রস্থ

প্রকাশ:  ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১৬:২৩
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের ইট ভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় দুই- আড়াই’শ বিঘা জমির ফসল, বাগানের মৌসুমী ফলসহ পোল্ট্রি খামার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জেলার সদর উপজেলার পুরানাপৈল ও পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপুর এলাকার শতাধিক কৃষকের স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।

সদর উপজেলার পুরানাপৈল এলাকার কৃষক গাজীউল হক বলেন, আমার একবিঘা জমির ধান ও একবিঘা কলা বেলায়েত হোসেন লেবুর ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক টাকা পয়সা খরচ করে আমরা ফসলগুলো লাগিয়েছিলাম দু’পয়সা লাভের আশায়, এখন আমাদের কি হবে? আমরা এই ভাটার মালিকের বিচার চাই, সেই সাথে আমরা ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।

একই এলাকার সাইদুর রহমান কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, এই বেলায়েত হোসেন লেবুর ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে আমার ৪ বিঘা জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। , আমি জমি পত্তনি নিয়ে ধান আবাদ করেছি আমি এখন কিভাবে এই খরচ পুষিয়ে নিব বুঝতে পারছিনা। আমরা এই ভাটার মালিকের বিচার দাবি করছি সরকারের কাছে।

কৃষক প্রতিনিধি বেলাল হোসেন বলেন, এই ভাটার বিষাক্ত ধোয়ার কারণে আমার আড়াই বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পুরানাপৈলে এক কিলোমিটারের ভিতরে ৮-৯টি ভাটার কিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। সেটিও ক্ষতিয়ে দেখার দাবি জানাই।

পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপুর এলাকার কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, প্রতি বিঘা ৭ হাজার টাকা দরে অগ্রিম টাকা দিয়ে অন্যের কাছ থেকে ৭ বিঘা জামি নিয়ে ধান চাষাবাদ করেছি। লাভ তো দুরের কথা এখন খরচের টাকা নিয়ে চিন্তিত। ইটভাটার গ্যাসের কারণে আমার মত এলাকার বহু কৃষকের যে ক্ষতি হয়েছে সেই দায়ভার নিবে কে?

মেসার্স বেলী ব্রিকস (বিবিসি) ইটভাটার কর্তৃপক্ষ আবু ইয়া হিয়া ও আর.বি.এম ইটভাটার প্রোপাইটর বেলায়েত হোসেন লেবু এসব অভিযোগ অস্বীকার করেই বলেন, তাদের ইটভাটার কারণেই যে জমির সব ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা ঠিক নয়। তবে কিছু কিছু জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে সেগুলো আমরা পরে দেখব।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তকে উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতার সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/জিএইচ/জেএস

জয়পুরহাট

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close