গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টা পর আসামির মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে একটি চেক মামলার (ওয়ারেন্টভুক্ত) আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে (৪৫) গ্রেফতার করে সদর থানার পুলিশ। গ্রেফতারের ৩ ঘণ্টা পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
বুধবার (২০ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে রাত ৮ টার দিকে পৌরসভার (২ নম্বর ওয়ার্ড) বাঞ্ছানগর এলাকায় মেঘনারোড জেলেপাড়া তার ওষুধ ফার্মেসি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
আবদুল কুদ্দুস সদর উপজেলার বাংগাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামের আবদুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে। তার চারটি মেয়ে সন্তান আছে। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেঘনা রোড এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন।
আসামি আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সার্কেল মিমতানুর রহমান ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, ঢাকার ওয়ারী থানায় কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি চেক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এতে নির্দেশনা পেয়ে সদর থানা পুলিশ তাকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেঘনা রোড এলাকার তার ফার্মেসি দোকান থেকে গ্রেফতার করে। খবর পেয়ে তার স্ত্রী নিগার সুলতানা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আল-আমিনকে নিয়ে থানায় আসেন। তাদের উপস্থিতিতেই কুদ্দুস অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুদ্দুস মারা যান।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন জানান, কুদ্দুস স্ট্রোক করেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানান, আব্দুল কুদ্দুছের বিরুদ্ধে একটি চেক মামলার ওয়ারেন্ট ছিলো। বুধবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। খবর পেয়ে তার স্ত্রী ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তার সঙ্গে দেখা করতে থানায় আসেন। থানা হাজত থেকে আসামি কুদ্দুস তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার জন্য কুদ্দুসকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার সঙ্গে স্ত্রী নিগার সুলতানা ও কাউন্সিলর আল-আমিনও ছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এর-আগে আব্দুল কুদ্দুস থানা হাজতে নামাজ পড়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে।
পূর্ব পশ্চিম/জেআর