• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীকে দাফন

প্রকাশ:  ২৭ এপ্রিল ২০২২, ০১:২২
অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা থেকে স্ত্রী ফিরোজা (৪৫) বেগমের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন স্বামী আয়নাল হক (৫০)। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) নিহত আয়নালের শ্বশুরবাড়ি গাইবান্ধার গিদারী ইউনিয়নের বারো টিকরি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি কবরে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বটতলা নামক এলাকায় ঢাকাগামী বাস ও গাইবান্ধাগামী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আয়নাল। নিহত আয়নাল হক একই ইউনিয়নের কমলার বাজার এলাকার মৃত রমিজ আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বারো টিকরি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আয়নালের শ্বশুরবাড়ির পাশেই পারিবারিক কবরস্থানে তাদের পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়েছে। কবর ঘিরে রাখার জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করছেন নিহত ফিরোজার বড় ভাই। সকালে দাফন হলেও দুপুরেও দলে দলে লোকজন তাদের কবর দেখার জন্য আসছেন। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে হতবাক স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে রাজধানীর মিরপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে দুই ছেলে ফরহাদ ও ফরিদসহ ছয়জনকে সঙ্গে নিয়ে গাইবান্ধার গিদারী ইউনিয়নের শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন আয়নাল হক। পথে দুপুরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বাসের সঙ্গে তাদের অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই চালকসহ নিহত হন আয়নাল।

এছাড়া ফিরোজা-আয়নালের দুই ছেলে ফিরোজ মিয়া (৩০), ফরহাদ মিয়া (১৯) ও ফিরোজের শ্যালক মিজানুর আহত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ছোট ছেলে ফরহাদ গুরুতর আহত হয়েছেন। তার ডান পা পুরোপুরি ভেঙে গেছে। এছাড়াও নিহত হয়েছেন ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বাসিন্দা দীন মোহাম্মদ (৩০)।

অভাবের কারণে ৩০ বছর আগে ফিরোজা-আয়নাল দম্পতি গাইবান্ধা ছাড়েন। তারা ঢাকার মিরপুরে থাকতেন। যখন তারা গাইবান্ধা ছেড়ে ঢাকায় যান, তখন তাদের একটি সন্তান ছিল ফিরোজ। এখন তাদের তিন ছেলে ও দুই মেয়েসহ পাঁচ সন্তান রয়েছে। দুই মেয়ে আংগুরা ও রোজিনার বিয়ে হয়েছে।

পূর্ব পশ্চিম/জেআর

স্বামী

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close