• রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

নকল বাবা সাজিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ ভাইদের বিরুদ্ধে

প্রকাশ:  ২৮ এপ্রিল ২০২২, ১৩:২৭
সাভার প্রতিনিধি

ঢাকার ধামরাইয়ে তিন বোনকে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নকল বাবা সাজিয়ে নিজেদের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকার আবু সাঈদ (৫৫), মো. মজিবর রহমান (৪২), আব্দুল হাকিম (৩৯) নামের তিনজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় ওই তিন ভাই ও তাদের সহযোগীদের নামে একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বোন রওশনারা বেগম (৪৫)।

চলতি মাসের ১১ এপ্রিল ধামরাই কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নকল পিতা সাজিয়ে ৩২৮.৫০ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত ওই তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে । যার দলিল নাম্বার- ৪৯৮৮। পরে ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ভুক্তভোগী বোন রওশনারা বেগম (৪৫) বাদী হয়ে তিন ভাই ও সহযোগীদের নামে থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকার আজগর আলীর তিন মেয়ে রওশনারা বেগম (৪৫), নার্গিস (৪০) এবং শিল্পীর (৩৮) ওয়ারিশের জমি না দেওয়ার লক্ষে তাদের তিন ভাই অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে বাবা সাজিয়ে কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে ডাউটিয়া মৌজার ৩২৮.৫০ শতাংশ জমি প্রতারণা করে তাদের নামে দলিল করে নেয়।

আর এই কাজে সহযোগিতা করেছেন একই এলাকার আবু সাঈদের ছেলে সুজন আলী (২২), মৃত আলীমুদ্দিনের ছেলে কেরামত আলী (৮০), কুল্লা ইউনিয়নের কুল্লা এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে জুয়েল রানা।

ভুক্তভোগী রওশনারা বেগম জানান, আমারা তিন ভাই এবং আমিসহ তিন বোন। আমার বাবার সম্পত্তিতে আমাদেরও অংশ আছে। কিন্তু আমাদের সম্পত্তি দিতে হবে দেখে আমার তিন ভাই অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে বাবা সাজিয়ে কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে প্রতারণা করে তাদের নামে সব সম্পত্তি দলিল করে নিয়েছে। আমার বাবা অসুস্থ থাকার সুযোগে তারা এই কাজ করেছে। পরে বিষয়টি জানার পর আবার বাবা ও আরো দুই বোন নার্গিস এবং শিল্পীর পক্ষ থেকে আমি ভাইদের নামে থানায় অভিযোগ করেছি।

অভিযুক্ত মজিবুর রহমান ও আব্দুল হাকিম জানান, এ ঘটনায় আমার বোন থানায় অভিযোগ করেছিল। পরে আমার বোনরা এবং আমরা তিন ভাই চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যান একটা সময় আমাদের ভাইবোনদের নিয়ে বসে এটা ঠিক করে দেবেন।

এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলার কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা আব্দুল মতিনকে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত হোসেন জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর দলিলদাতা আজগর আলীর সাথে কথা বলেছি। তিনি তার তিন ছেলেকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে হয়ত আরো জানাতে পারবো।

পূর্বপশ্চিম/এমএস/এনএন

নকল

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close