সার্জেন্ট সেজে প্রতারণা, যুবক গ্রেপ্তার

যশোরের মনিরামপুরে সার্জেন্ট সেজে প্রতারণা করায় মনিরুজ্জামান মনির নামে এক যুবককে পুলিশে দিয়েছে জনগণ। এ ঘটনায় আটক যুবকের বিরুদ্ধে মনিরামপুর থানায় মামলা হয়েছে।

রোববার (০১ এপ্রিল) সকালে মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কের হাজিরহাট স্লুইসগেটে দাঁড়িয়ে সার্জেন্ট সেজে কাগজপত্র দেখার নামে টাকা আদায় করছিলেন ওই যুবক।

আটক মনিরুজ্জামান খুলনার খানজাহান আলী থানার গিলেতলার আধরা ডাক্তারবাড়ি এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।

মনিরুজ্জামানের দাবি, ৫-৬ বছর আগে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে এসে শয়তানের ফেরে পড়ে তিনি রাস্তায় মোটরসাইকেল চালকদের দাঁড় করিয়ে কাগজপত্র দেখছিলেন। এ সময় জনগণ ধরে মারপিট করে তার টাকা কেড়ে নিয়েছে।

হাজিরহাটের আঠারোপাকিয়া গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আরজান হোসেন বলেন, আমি মোটরসাইকেল চালিয়ে পাঁচকাটিয়া এলাকায় যাচ্ছিলাম। পথে স্লুইসগেটের সামনে পৌঁছালে সংকেত দিয়ে আমাকে দাঁড় করান মনিরুজ্জামান। আমি দাঁড়াতেই গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। এরপর আমাকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। আমার পকেটে ১০ হাজার টাকা ছিল। একপর্যায়ে টাকা দেখতে পেয়ে সেগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন চলে এসে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন।

আরজান নামে একজন বলেন, ওই লোকটি একা ছিলেন। তিনি যশোর ট্রাফিকের সার্জেন্ট পরিচয় দিয়েছেন। এ সময় লোকজনকে তিনটি পদকও দেখান তিনি। তখন সন্দেহ হলে লোকজন তাকে ধরে ফেলেন।

মনিরামপুর থানার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ওই যুবক সার্জেন্ট সেজে মোটরসাইকেল চালকদের আটকিয়ে টাকা নিচ্ছিল। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়া পরিচয় দেওয়ার অপরাধে মামলা দিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করেছি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এএইচ/এনজে