• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

ঈদের তৃতীয় দিনেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড়

প্রকাশ:  ০৫ মে ২০২২, ২২:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের তৃতীয় দিনেও পর্যটকের ভিড় রয়েছে সাগর কন্যা কুয়াকাটায়। টানা ছুটিতে পরিবার পরিজন ও বন্ধুদের নিয়ে বালিয়াড়িতে হৈ-হুল্লোড়ে মেতেছেন পর্যটকরা। ঘুরে বেড়াচ্ছেন টেংরাগিরি ফরেষ্ট, লাল কাকড়ার চর, গঙ্গামতি, লেম্বুর চর, জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, শতবর্ষী নৌকা, ইলিশ পার্ক, এশিয়ার বৃহত্তর সীমা বৌদ্ধ বিহারসহ বিভিন্ন দর্শনিয় স্পটে। এছাড়া সমুদ্র স্নান, ছবি তোলাসহ সৈকতে ছাতার নিচে বসে সাগরের ঢেউ উপভোগ করছেন অনেকে।

ঢাকা থেকে আসা ফারুক হোসেন ও আকলিমা বেগম দম্পতি জানান, ঈদের পরদিন সকালে তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। তাদের দুই সন্তানসহ সমুদ্রের নোনা পানিতে গোসল করেছেন। বাচ্চারা সৈকতে অনেক মজা করেছে।

তারা আরও জানান, সাগরের বিশালতা ও সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে সময় কাটাতে তাদের অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সূর্যাস্তের সময়টা তারা অনেক উপভোগ করেছেন। এতবড় ছুটি সহজে পাওয়া যায় না তাই আরো দুদিন কুয়াকাটায় থেকে পায়রা বন্দর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য স্পটগুলো ঘুরে দেখবেন তারা।

খুলনা থেকে আসা পর্যটক জাহিদুর রহমান জানান, করোনার দু’বছর পরিবার পরিজন নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনি। এবার একসঙ্গে অনেক দিনের ছুটি পওয়াতে পরিবারের সকলকে নিয়ে বেড়াতে আসলাম। শুনেছি এখান থেকে সুর্যোদয় ও সুর্যাস্ত দেখা যায়। ইলিশ পার্ক, বৌদ্ধ বিহার, লেম্বুর চর ও ইকো পার্কে ঘুরেছি অনেক ভালো লেগেছে যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আগামীকাল লাল কাকড়া ও ফাতরার বন দেখতে যাবো। ঈদের ছুটিতে এতটা সুন্দর সময় কাটবে আশা করিনি।

ফরিদপুর থেকে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে এসে মো. ইসতিয়াক জানান, কুয়াকাটায় এর আগেও কয়েকবার এসেছি। প্রতিবার ভিন্ন মজা পেয়েছি। এখানকার প্রকৃতি একেক ঋতুতে একেক রকম। ঘুড়ছি বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করছি। সাগরের স্নিগ্ধতাকে উপভোগ করছি। তবে প্রতিবার যে বিষয়টি আমাকে আশাহত করেছে, তা এর বালুক্ষয়। সৈকতটি অনেক ছোট হয়ে গেছে। জিও টিউব ও ব্যাগ দিয়ে সাময়িক রক্ষা হলেও সৈকত রক্ষার স্থায়ী উদ্যাগ নেয়াসহ কুয়াকাটার আরো উন্নয়ন দরকার বলে মনে করেন তিনি।

ট্যুরিষ্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক মো. হাচনাইন জানান, ঈদ উপলক্ষে কুয়াকাটায় প্রচুর পরিমাণে পর্যটকের সমাগম হয়েছে।পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্পটে পুলিশের নজরদাড়ি বাড়ানোসহ বিভিন্ন উদ্যেগ গ্রহণ করা হয়েছে।

পূর্ব পশ্চিম/জেআর

কুয়াকাটা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close