কিশোরগঞ্জে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী-শ্বশুর আটক
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় সোনিয়া বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৭ মে) দুপুরে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সম্পর্কিত খবর
সোনিয়া ওই গ্রামের মো. শাহিন মিয়ার স্ত্রী।
জানা যায়, উপজেলার জাফরনগর গ্রামের ফারুক আহমেদের মেয়ে সোনিয়া বেগমের সঙ্গে পাঁচ মাস আগে পাশের গ্রামের শাহিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে সোনিয়ার ঝগড়া হতো। শনিবার সকালে সোনিয়া শৌচাগারে পড়ে মারা গেছে বলে তার বাবার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়।
সোনিয়ার বাবা ফারুক আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, সকালে খবর পেয়ে শাহিনের বাড়িতে গিয়ে দেখি মেয়ের মরদেহ ঘরে পড়ে আছে। এসময় আমার মেয়ের গলায় ক্ষতের চিহ্ন দেখতে পাই। আমার সন্দেহ, শাহিন ও তার লোকজন তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে।
তবে শ্বশুরের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে নিহতের স্বামী শাহিন বলেন, আজ সকালে আমার স্ত্রী বাথরুমে গিয়ে পড়ে যায়। ঘটনাটি দেখে আমি তাকে উদ্ধার করে আমার রুমে আনার পর সে মারা যায়।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, সকালে খবর পাই ভবানীপুর গ্রামে এক বাড়িতে একজন গৃহবধূর মরদেহ পড়ে আছে। এলাকাবাসী স্বামী-শ্বশুরকে আটক করে রেখেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনে।
তিনি বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে কিশোরগঞ্জে পাঠানো হয়েছে। আটক স্বামী ও শ্বশুরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর গৃহবধূর পরিবার অভিযোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম