• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

যারা জুম বাগানে আগুন দিলেন তারাই গেলেন ত্রাণ নিয়ে!

প্রকাশ:  ০৮ মে ২০২২, ১৮:৩২
বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের লামা উপজেলায় লাংকমপাড়া, রেংয়েনপাড়া ও জয়চন্দ্রপাড়ার জুমের বাগান পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে, তারাই আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছেন। বান্দরবানের ম্রো এবং ত্রিপুরা পাড়াবাসী সেই ত্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন।

এসময় তারা জুম বাগানে আগুন দেওয়ার ঘটনার দায়ের করা মামলার প্রধান তিন আসামী ঘটনার মূল হোতা লামা রাবার ইন্ড্রাষ্ট্রিজের পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন (৬২) ও জহিরুল ইসলামকে (৬০) অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

রোববার (৮ মে) সকালে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গেলে এলাকাবাসী তা গ্রহণ করেননি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার গণমাধ্যমকে বলেন, 'বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আজ রোববার সকালে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পাড়ায় ত্রাণ নিয়ে গেলে পাড়ার বাসিন্দারা সেখানে রাবার কোম্পানির কর্মীদের উপস্থিতির অভিযোগে আমাদের সহযোগিতা গ্রহণ না করে সেই ত্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন।'

ত্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে রেং ইয়ান পাড়ার কারবারি রেংয়ান ম্রো বলেন, আমাদের ত্রাণের খুব দরকার। কিন্তু আমরা ত্রাণ নিতে গিয়ে দেখি যারা আমাদের জুমের বাগান পুড়িয়ে দিয়েছেন, সেই লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্মীরা প্রশাসনের সদস্যদের সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন। আমরা প্রয়োজনে না খেয়ে মরব। তবুও যারা আমাদের বাগান পুড়িয়ে দিয়েছে, আমাদের সর্বস্বান্ত করেছে, তাদের হাত থেকে ত্রাণ নেব না। তাই আমরা প্রশাসনের ত্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছি।

এই কারবারি বলেন, লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে আমাদের জুমের বাগান পুড়িয়ে দিয়েছে। এই আগুনে প্রায় একশ একর জুমের ধান, আম, কলা, আনারসসহ বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, আগুনে ঝিরি এবং এখানকার জীববৈচিত্রও মারাত্মকভাবে ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছে।

এসময় তিনি জুম বাগানে আগুন দেওয়ার ঘটনার মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।

পূর্বপশ্চিম এনই

জুম বাগানে আগুন,লামা,বান্দরবান

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close