• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

ফেরিতে উঠতে নৌকা, দুর্ভোগের শেষ কবে?

প্রকাশ:  ১৬ মে ২০২২, ১৩:০৭
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার প্রধান তিনটি নদ-নদীতে উচ্চ জোয়ারে নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়াও পায়রা ও বিষখালী নদীর দুটি ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে থাকায় যানবাহন ও মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সোমবার (১৬ মে) সকালে বরগুনা সদর উপজেলার বড়ইতলা ফেরিঘাট এলাকায় দেখা গেছে এমনই দৃশ্য।

সম্পর্কিত খবর

    সরেজমিনে দেখা যায়, পায়রা ও বিষখালী নদীর উচ্চ জোয়ারে বড়ইতলা ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ হচ্ছে। মোটরসাইকেল ও ট্রাক ফেরির পন্টুন থেকে রাস্তায় ওঠার সময় পানিতে আটকে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শিশু ও নারী-পুরুষ সকলেই প্রায় কোমরসমান পানি পেরিয়ে পন্টুন থেকে তীরে উঠছেন। কখনো আবার নৌকায় করেও যাত্রীদের পার করছেন জেলেরা।

    এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উচ্চ জোয়ারের কারণে সদর উপজেলার পোটকাখালী, বাওয়ালকার, বরইতলা, পশ্চিম গোলবুনিয়া, ডালভাঙা এলাকার বাঁধের বাইরে বসবাস করা মানুষের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।

    স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর বৈশাখ থেকে শুরু করে আশ্বিন মাস পর্যন্ত নদীতে জোয়ারের পানি বেড়ে যায়। প্রায়ই উচ্চ জোয়ারে ডুবে যায় পায়রা ও বিষখালী নদীর আমতলী-পুরাকাটা ও বড়ইতলা-বাইনচটকি ফেরিঘাট। ফলে নদী পারাপারে যানবাহনগুলোকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

    বড়ইতলা ফেরিঘাট সংলগ্ন দোকানি আউয়াল হোসেন বলেন, গত তিনদিন ধরে নদীতে পানি বাড়ায় ফেরিঘাট ডুবে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ফেরিঘাট পারাপার হওয়া সাধারণ মানুষ।

    ফেরিতে পারাপার হওয়া এনজিও কর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পারাপারে ঝুঁকিও বাড়ছে।

    মো. কাশেম নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, এ সমস্যা নতুন নয়। বছরের পর বছর ধরে এমন সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। শিশু ও নারী-পুরুষ সকলকেই কোমরসমান পানি পেড়িয়ে ফেরিতে উঠতে হচ্ছে। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে।

    টমটম চালক বেলাল হোসেন বলেন, গাড়িতে যে মালামাল আছে তা ভিজে গেলে মালিককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তাই পানি না কমা পর্যন্ত বসে থাকতে হবে।

    পোটকাখালী এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, জোয়ারের পানিতে ফেরিঘাট ছাড়াও স্থানীয়দের বাড়িঘরও তলিয়ে গেছে। এখন রাত-দিন দুইবার করে বাড়িঘরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ফলে অনেক বাড়িতে রান্না হচ্ছে না।

    সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ গিয়াস উদ্দীন বলেন, বরইতলা ফেরিঘাট সংস্কারের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

    পাউবো বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে বরগুনার প্রধান তিনটি নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৬০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। আরও দু-এক দিন এই ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    পূর্বপশ্চিমবিডি/আরএইচ/এনজে

    ফেরিতে উঠতে নৌকা,দুর্ভোগের শেষ কবে

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close