ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, ছোট বোনের জামাই গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর চাটখিলে স্ত্রীর বড় বোনকে (৩২) ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র ধারণের অভিযোগে ছোট বোনের জামাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৩ মে) সকালে আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ২২ মে বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার চাটখিল পৌরসভার ভীমপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চাটখিল থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত আবু বক্কর ছিদ্দিক উল্যা (৩০) উপজেলার চাটখিল পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের ভীমপুর গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের ছেলে। জানা যায়, ছিদ্দিক উল্যা ২০২০ সালে স্ত্রীর বড় বোনের ঘরে ঢুকে সুকৌশলে ঠান্ডা পানীয়র সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে অচেতন করেন। এরপর তাকে ধর্ষণ করে সেই ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করে রাখেন। পরে ভিডিওটি ভিকটিমের স্বামী, আত্মীয়-স্বজন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার হুমকি দিয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকা আদায় করেন।

এরপর ২০২১ সালে ৭-৮ মাস প্রবাসে থেকে দেশে ফেরেন ছিদ্দিক। এসেই এসব ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমকে তার স্বামীর নিকট হতে ২০ লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য বলেন। একপর্যায়ে ভিকটিম তার ব্যবহৃত ৮ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ছোট বোনের স্বামী ছিদ্দিক উল্যাকে দেন।

পরবর্তীতে বিষয়টি ভিকটিম তার স্বামীকে জানালে তার স্বামী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানায়। এতে ছিদ্দিক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই গৃহবধূর স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের খুুন করার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে চলতি মাসের ১৯ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভীমপুর গ্রামের দাস বাড়ির সামনে গৃহবধূর স্বামীর ওপর হামলা চালায় । শেষে গতকাল রোববার পূর্বের ঘটনাসহ উল্লেখ করে চাটখিল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছিদ্দিক উল্যার স্ত্রীর বড় বোন নিজেই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ন কবির বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শিশু নির্যাতন দমন ও ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ছিদ্দিক উল্যাহসহ ২ জনের নাম উল্লেখ করে ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পরিদর্শক তদন্ত আরও জানান, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। এছাড়া অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এনজে