ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূকে মারধর
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৩ মে) রাতে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী।
সম্পর্কিত খবর
অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম গাংনী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রোডপাড়ার বাসিন্দা এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ চার বছর ধরে গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন জহিরুল ইসলাম। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে গৃহবধূর মোবাইল নম্বরে কল করেও উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি স্বামীসহ স্থানীয় মাতব্বরদের জানানো হয়। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশ হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। প্রতিবাদ জানালে স্বামীসহ গৃহবধূকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ির উঠোনে শিশু সন্তানকে ভাত খাওয়াচ্ছিলেন ওই নারী।
বাড়িতে স্বামী না থাকার সুযোগে জহিরুল ইসলাম বাড়িতে ঢুকে তাকে জড়িয়ে ধরেন। শিশু সন্তানকে মাটিতে ফেলে দিয়ে গৃহবধূকে শোবার ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন জহিরুল। সন্তানকে নিয়ে চলে যেতে চাইলে গৃহবধূকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। মারধরে শিশু সন্তানসহ গৃহবধূ আহত হন। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে জহিরুল গৃহবধূ ও তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। খবর পেয়ে গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে এসে স্ত্রী-সন্তানকে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত না। প্রতিপক্ষরা আমার রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুণ্ন করতে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু মোসা বলেন, বর্তমানে ঢাকায় আছি। বিষয়টির ব্যাপারে কেউ কিছু জানায়নি। ঢাকা থেকে ফিরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বসবো। এ ব্যাপারে কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক নারী। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এনজে