জাল ভোট-গোলযোগের দায়ে ৬ জনের জেল, আটক ৫
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়া ও গোলযোগ সৃষ্টির দায়ে ছয়জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে তিন মাস ও পাঁচজনকে তিন থেকে এক সপ্তাহ সাজা দেওয়া হয়।
বুধবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সম্পর্কিত খবর
তিনি জানান, জাল ভোটের দেওয়ায় একজনকে তিনমাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সংরাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে পাঁচ বহিরাগতকে আটক করে তিন থেকে সাত দিনের সাজা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে নির্বাচনে সংরাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে পাঁচ বহিরাগতকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা। পরে জেলা প্রশাসক বহিরাগতদের এলাকা ছাড়ার জন্য মাইকিং করেন।
এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে ৬৪০টি বুথে ভোট হচ্ছে ইভিএমে। এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুইজন।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে প্রশাসন। নির্বাচনে ১০৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৭৫টি তল্লাশিচৌকি, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৩০টি টিম, ৫২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের ৩ হাজার ৬০৮ জন সদস্য মাঠে রয়েছেন।
নির্বাচনে ইভিএমে কোনো ধরনের যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতের জন্য রয়েছেন ৩৫ জন। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের সারিতে একটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। প্রতি বুথে (কক্ষে) একটি করে মোট ৬৪০টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। ভোট কক্ষের ভেতরে কোনো এজেন্ট কোনো ভোটারকে তার পছন্দের প্রতীকে ভোটদানে প্রভাবিত করলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এনজে