নোয়াখালীতে তরুণীকে গলা কেটে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ডিভোর্সি তরুণী জান্নাতুল ফেরদৌস পাখিকে (৩০) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ ও নিহতের পরিবার এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ১৫ জুন রাতে সোনাইমুড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরনবী (৪০) ও স্বপন (২৬) এবং অপর ২ আসামি জেলার সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা অলি উল্যাহ ওরফে মনির (৩৩), আবু সুফিয়ান (৩৫)।

নিহত তরুণী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পিতাম্বরপুর গ্রামের মহিন উদ্দিনের মেয়ে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহত তরুণীর ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এসআই আরো জানায়, গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের পিতাম্বরপুর গ্রামের মিনা হাজী বাড়ি সংলগ্ন একটি সবজি খেত থেকে পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য, নিহত পাখি ডিভোর্সি তরুণী ছিলো। সে বাবার বাড়িতে থাকতো। গত ১৪ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাখি বোনের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর ১৫ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পিতাম্বপুর গ্রামের মিনা হাজী বাড়ির উত্তর পূর্ব পাশের একটি সবজি বাগান থেকে স্থানীয় মেয়েরা সবজি নিতে এসে দেখে ওই তরুণীর গলাকাটা লাশ পড়ে আছে।

পুলিশ জানায়, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবার বিশেষ কোনো ক্লু দিতে পারেনি। তবে ডিভোর্সি তরুণী হওয়ায় কারো সাথে যোগাযোগ থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পরিবার।

পূর্বপশ্চিমবিডি/জিইউআর/এনজে