খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঠিকাদারকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) তারেকুল আলমের বিরুদ্ধে ঘুষের ৫০ হাজার টাকা না দেয়ায় খোরশেদ আলম নামে এক শ্রমিক ঠিকাদারকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কক্ষে খোরশেদকে লাঞ্চিত করা হয়। এসময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে তারেকুল আলম ও খাদ্য পরিদর্শক ফরহাদ গণমাধ্যম কর্মীদের বাঁধা দেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও তিনি দাবি করেছেন, ঠিকাদারকে লাঞ্চিত করা হয়নি। তার সঙ্গে তারেকুলের হাতাহাতি হয়েছে। এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়। ঘুষ দাবির বিষয়টা তিনি অবগত নয়।
সম্পর্কিত খবর
ঠিকাদার খোরশেদ আলম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স কে আলম এন্ড সন্স’ এর স্বত্তাধিকারী ও সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
খোরশেদ আলম ও তার ছেলে সাইফুল আলম জানায়, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খাদ্য গুদামে ট্রাক লোড-আনলোডের জন্য শ্রমিক নিয়োগের কার্যক্রম পরিচালন করেন মেসার্স কে আলম এন্ড সন্স। এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৭৪ হাজার টাকার পে-অর্ডার জামানত হিসেবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা রাখেন তারা। নিয়মানুযায়ী কার্যক্রমের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছরেও জামানতের পে-অর্ডারের টাকা ফেরত দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। এনিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে থেকে চিঠি ইস্যু করা হলেও কর্ণপাত করেননি তারা। ঘটনার সময় জামানতের টাকা ফেরত চাইতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কক্ষে গেলে ওই কর্মকর্তার সামনেই তারেকুল আলম ৫০ হাজার টাকা কমিশন দাবি করেন। অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে (খোরশেদ) গালমন্দ ও শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করা হয়। এসময় তার ছেলে সাইফুল বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করতে তেড়ে আসা হয়। এক পর্যায়ে খোরশেদকে কক্ষ থেকে বের করে দেন তারা। এসময় চিৎকার শুনে গণমাধ্যমকর্মীরা এগিয়ে এলে তাদের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করা হয়।
তারেকুল আলমের মোবাইলে কল করলে তিনি কোন মন্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তিনি সরাসরি কথা বলবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনখাই চাকমা বলেন, তাদের মধ্য ঘটনাটি সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।
পূর্বপশ্চিম/ম