বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ শাপলা
নওগাঁয় আতিকুর রহমান নামে এক কারারক্ষী স্বামীর বিরুদ্ধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী শাপলা বেগম। নির্যাতনের অভিযোগে নওগাঁ আদালতে করা “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন” আইনে মামলা প্রভাবিত করা ও বিচার চাইতে গিয়ে কারাগারের জেলারের কুপ্রস্তাবের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন ওই নারী।
সোমবার নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগকারী নারী শাপলা বেগম সদর উপজেলার উলিপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে। বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২০১০ সালে একই উপজেলার চুনিয়াগাড়ী গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে আতিকুর রহমানের সাথে বিয়ে হয় তার। বিয়ের এক বছরের মাথায় চাপ প্রায়োগ করে বেশ কয়েক দফায় ১০লক্ষ টাকা যৌতুক নেন আতিকুর। এরপর চাকুরীর সুবাদে গাইবান্ধায় স্বপরিবারে বসবাস শুরু করেন তারা। সেখানে থাকাকালে স্বামীর হাতে শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। এরপর বিভিন্ন সময় শাপলাকে হত্যা চেষ্টা করেন আতিকুর রহমান। হঠাৎই এসব নির্যাতনের কারন খুঁজতে গিয়ে স্বামীর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার বেশ কিছু প্রমান পায় বলে দাবী করেন শাপলা।
সম্পর্কিত খবর
নিরুপায় হয়ে আতিকুরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ২০২০সালের আগষ্টে বগুড়া জেলার তৎকালীন জেলারের কাছে অভিযোগ দিতে যান। কিন্তু জেলার শরিফুল ইসলাম তাকে একটি রুমে ডেকে নিয়ে তার ফোনে থাকা অশ্লীল ছবি দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ২০২০সালের ৮ সেপ্টেম্বর নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইবুনাল-১ এ মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু সেই মামলার স্বামী আতিকুর রহমানের পক্ষের পিপি এ্যডভোকেট নাহিদ সংসার টিকিয়ে রাখার প্রলোভনে আতিকুরের ১ মাসের জামিনের ব্যবস্থা করে দেন। প্রতিশ্রুতি সময়ে কোনও আপোষ না করে এ্যডভোকেট নাহিদ আবারও আপোষের প্রলোভন দেখিয়ে স্থায়ী জামিনে সহযোগীতার কথা বলেন। এতো বাধার পর এই মামলার ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে শঙ্কা প্রকাশ করেন শাপলা বেগম।
পূর্বপশ্চিম- রিপন/ এনই