স্ত্রী হত্যার দায়ে ২৫ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন
মাদারীপুরের শিবচরের রাম রায়ের কান্দি গ্রামের স্ত্রী মিনালী রানী পালকে হত্যার দায়ে স্বামী গোবিন্দ চন্দ্র পালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে মাদারীপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন এই আদেশ দেন।
সম্পর্কিত খবর
দণ্ডপ্রাপ্ত গোবিন্দ চন্দ্র পাল উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের রাম রায়ের কান্দি এলাকার গোপাল পালের ছেলে। তিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে ১৯৯৬ সালের ৫ ডিসেম্বর তারিখে গৃহবধু মিলানী রানী পালকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন স্বামী গোবিন্দ চন্দ্র পাল। পরে এ ঘটনায় শিবচর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্বাস উদ্দিন বাদী হয়ে গোবিন্দ চন্দ্র ও অজ্ঞাতদের আসামী করে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনায় মাদারীপুর শিবচর থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হক তদন্তের পর ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ২০ জন স্বাক্ষীর নামসহ গোবিন্দ চন্দ্র পালকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে। পরে বিচারিক আদালতে দীর্ঘ ২৫ বছর যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত স্বাক্ষী প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে মিলানী রানীর স্বামী গোবিন্দ চন্দ্র পালকে যাবজ্জীবন ও ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। তবে এ রায় ঘোষণার সময় আসামি বা আসামি পক্ষের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, ঘটনার পর আসামী গোবিন্দ চন্দ্র পাল পলাতক রয়েছেন। মিলানী রানী পালকে হত্যা মামলায় দীর্ঘ ২৫ বছর যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এই মামলার একমাত্র আসামী গোবিন্দ চন্দ্র পালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাথে ৫ হাজার টাকা অর্থাদণ্ডাদেশ দেন। তাকে ধরতে আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম