ঝালকাঠি-বরিশালসহ ৫ রুটে বাস ধর্মঘট

ঝালকাঠিতে বাস শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে ঝালকাঠি-বরিশালসহ পাঁচ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট শুরু করেছে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টা থেকে ঝালকাঠি-বরিশালসহ ৫ রুটে বাস ধর্মঘট শুরু হয়।

বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান, বেলা ১২টার দিকে বরিশাল রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে বাস পাকিং নিয়ে ঝালকাঠির শ্রমিকদের সাথে পটুয়াখালীর শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে বরিশাল ও পটুয়াখালীর শ্রমিকরা মিলে ঝালকাঠির বাসচালক ও শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা পিটিয়ে ঝালকাঠির বাসচালক কালু হাওলাদার, সুপারভাইজার আবুল কালাম, হেলপার শাওন হাওলাদার, সাগর ও জাহিদসহ ১০ জনকে আহত করে। চালকসহ আহত ঝালকাঠি ৭ শ্রমিককে বরিশাল ও ঝালকাঠি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বরিশালের এক বাসশ্রমিক ঝালকাঠিতে আসলে তাকেও মারধর করে ঝালকাঠির শ্রমিকরা।

এদিকে ঝালকাঠি থেকে বরিশালসহ পাঁচ রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।

বাসচালক কালু হাওলাদার বলেন, আমি ঝালকাঠি থেকে যাত্রীবাহী বাস নিয়ে বরিশাল রূপাতলী স্ট্যান্ডে থামাই। এ সময় পটুয়াখালীর কয়েকজন বাস শ্রমিক আমাকে বাস থামাতে নিষেধ করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। মুহূর্তের মধ্যে বরিশাল ও পটুয়াখালীর শ্রমিকরা মিলে আমাকে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে আমাদের শ্রমিকরা এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি বরিশাল যাব, কোনো বাসই ছাড়ছে না। পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছি। অতিরক্ত ভাড়া দিয়ে এখন অটোবাইকে করে যেতে হবে। '

বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্রী রুমানা ইয়াসমিন বলেন, 'বরিশাল থেকে ঝালকাঠিতে কোন বাস ছাড়েনি, তাই ভেঙে ভেঙে আসতে হলো। একদিকে যেমন কষ্ট হয়েছে, তেমনি খরচও বেশি হয়েছে। '

ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, বাসচালক ও শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা চলছে। বরিশাল ও ঝালকাঠির বাসমালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সমাধান হলে বাস আবার চালু করা হবে।