স্ত্রীকে হত্যার পর প্রবাস ফেরত স্বামীর আত্মহত্যা
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের একটি বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন প্রবাস ফেরত স্বামী। পারিবারিক কলহ ও দুই পরিবারের সম্পর্কে টানাপোড়ানের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
নিহতরা হলেন- নোমান (৩২) ও শামীমা (২৪)।
চার বছর ধরে সৌদি আরবে থাকতেন ভোলার লালমোহনের মো. নোমান হোসেন। একবছর আগে বিয়ে হয় দূরসম্পর্কের আত্মীয় শামীমার সঙ্গে। বিয়ের পর সৌদি আরব চলে যান নোমান। গত ১০ সেপ্টেম্বর পরিবারকে না জানিয়ে ফেরেন দেশে। স্ত্রী শামীমাকে নিয়ে বাসা ভাড়া নেন মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে। একই বাড়ির পাঁচতলায় ভারা থাকতেন নোমানের বন্ধুরা।
রোববার ন্যাশনাল আইডি ও অন্যান্য কাগজপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল বাড়িওলাকে। রাত ১০টার দিকে তাদের ডাকাডাকি করে না পেলে দারোয়ান বাচ্চু মিয়াসহ নোমানের বন্ধুরা দরজা ভেঙে নোমানকে ঝুলন্ত অবস্থায় পায়। অন্যদিকে শামীমার মৃতদেহ পাওয়া যায় মেঝেতে চাদরমোড়া অবস্থায়।
পুলিশ ও সিআইডির ফরেনসিক টিমের প্রাথমিক ধারণা দাম্পত্যকলহের কারণে স্ত্রী শামীমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যা করেন নোমান।
তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মুজিব পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি নোমান ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন এবং শামিমা বিছানার ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের পাশাপাশি অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন আলামত সংগ্রহ করছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দীর মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়েছে।