আহত শিশু কান্না করায় নার্সের চড়, থানায় ডায়েরি
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত শিশু কান্না করায় চড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার (৮ অক্টোবর) থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন স্বজনরা।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান জানান, টিনে লেগে হাত কেটে যাওয়া শিশুটির ক্ষতস্থান সেলাই করছিলেন নার্স সুমন। এ সময় ব্যথায় কেঁদে ওঠে লামিয়া নামে শিশুটিকে চড় দেন তিনি। শিশুটিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সুমনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযোগে জিডি হয়েছে। আমরা অভিযোগ তদন্ত করে দেখছি।
সম্পর্কিত খবর
লামিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে এতিম, তাই মামা-মামির সঙ্গে থাকে। তার মামি সাবেরা খাতুন বলেন, শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে টিনে লেগে লামিয়ার হাত কেটে যায়। চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অপারেশন থিয়েটার রুমে দ্বায়িত্বরত নার্স সুমন কোনো অ্যানেসথেসিয়া না দিয়ে ক্ষতস্থান সেলাই করতে শুরু করেন। এ সময় ব্যথায় লামিয়া কান্না করে। বিরক্ত হয়ে তাকে মারধর করে সুমন। লামিয়ার গালে মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট।
লামিয়ার নানী আলমতাজ বেগম বলেন, নার্স সুমনের চড়-থাপ্পড়ে আমার নাতিন লামিয়া আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ সরকার বলেন, লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই নার্সের বিরুদ্ধে সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নার্স সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ইচ্ছে করে মেয়েটিকে চড়-থাপ্পড় দিইনি। আসলে তাকে শান্ত করতে চাচ্ছিলাম। ওর হাত বেশি কেটে যাওয়ায় রক্ত ঝরছিলো। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা না গেলে আরো অসুস্থ হয়ে যেতো।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম