গাইবান্ধায় উপ-নির্বাচন: ৩ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত
গাইবান্ধা-৫ আসনের (ফুলছড়ি-সাঘাটা) উপ-নির্বাচনে ‘গোপন কক্ষে’ একজনের পরির্বতে আরেকজনের ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে তিন কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
কেন্দ্রগুলো হলো- সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি উচ্চ বিদ্যালয়, রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।
সম্পর্কিত খবর
মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার তিনটি কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর ভোটারকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জালিয়াতির মাধ্যমে গোপন কক্ষে একজনের পরির্বতে আরেকজন ভোট দেওয়ার অভিযোগে এসব কেন্দ্রের ভোট বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান বলেন, তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। তবে আরও বেশ কিছু কেন্দ্রের ব্যাপারে আমাদের কাছে তথ্য আসছে। যাচাই-বাছাই করে সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এরমধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।
এ উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আসনটিতে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
