• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

নিষেধাজ্ঞা শুরুর পাঁচদিনেও খাদ্য সহায়তা পায়নি জেলেরা

প্রকাশ:  ১২ অক্টোবর ২০২২, ২০:৪৪
রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ৭ অক্টোবর থেকে নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। এই তিন সপ্তাহ জেলেরা নদীতে নামতে পারবেন না। প্রতিবছর এমন নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে সরকার।

আগের বছরগুলোতে নিষেধাজ্ঞা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে জেলেদের। কিন্তু এবার নিষেধাজ্ঞা শুরুর পাঁচদিন পরও রাজশাহীর জেলেরা খাদ্য সহায়তা পাননি। খাদ্য সহায়তার চাল পেতে তাদের আরও দুই-তিন দিন সময় লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরী এবং জেলার গোদাগাড়ী, পবা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। এসব এলাকায় প্রায় আট হাজার জেলে পরিবার রয়েছে। তবে খাদ্য সহায়তা পাবেন তালিকাভুক্ত চার হাজার জেলে।

রাজশাহীর এই চার হাজার জেলের প্রত্যেককে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এ জন্য ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে সেই চাল এখনও জেলেরা পায়নি।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার রাওথা গ্রামের জেলে কুরবান আলী বলেন, ‘সরকার নদীত নাইমতে দিবে না। ভালো কথা, কিন্তু আমরা যে চাইলডা পাই সেইডাও তো এবার পানু না। কবে চাইল দিবে তাও জানি না। এখুন বইসি বইসি কয়দিন খাইতি পারব? এইভাবে তো চলে না।’

পবা উপজেলার হরিপুর গ্রামের জেলে আনিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জেলে মানুষ। হঠাৎ করে অন্য কাজ পারি না। কেউ কাজে ডাকেও না। এই সময়টা জাল বুনে পার করি। কিন্তু হাতে তো টাকা আসে না। সরকার যে চাল দেয় তাতে উপকার হয়। আগেরবার আগেভাগেই চাল পেয়েছিলাম। এবার এখনও পাইনি। কী কারণ সেটা জানি না।’

জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পূজার ছুটির কারণে এবার বরাদ্দ পেতে দেরি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) আমি মন্ত্রণালয় থেকে চাল বরাদ্দের চিঠি পেয়েছি। তারপর রোববার (৯ অক্টোবর) সপ্তাহের প্রথম অফিসের দিনই জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে দিয়েছি। তার সঙ্গে দেখা করে দ্রুত প্রক্রিয়া শেষ করার অনুরোধ জানিয়েছি।’

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দীন আল ওয়াদুদ বলেন, ‘আমি আজই (মঙ্গলবার) জেলা প্রশাসক স্যারের কাছ থেকে ফাইল অনুমোদন করিয়েছি। কাল (বুধবার) প্রত্যেক উপজেলায় চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে চাল বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

তিনি জানান, স্থানীয় খাদ্য গুদাম থেকে চাল তুলে মৎস্য কর্মকর্তারা তা জেলেদের মাঝে বিতরণের ব্যবস্থা করবেন। দুই-তিন দিনের মধ্যে জেলেরা হাতে চাল পেয়ে যাবেন বলেও তিনি জানান।

রাজশাহী,খাদ্য,সহায়তা,জেলেরা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close