মাকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ, ২ দিন পর ছেলের লাশ উদ্ধার
মাকে বাঁচাতে সাঁতার না জানা থাকলেও চলন্ত লঞ্চ থেকে মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে গজারিয়া নৌপুলিশ।
ঘটনার দুই দিন পর বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী গ্রামের মেঘনা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত তরুণের নাম মোহাম্মদ নাঈম (২১)।
সম্পর্কিত খবর
গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজুল জান্নাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এসআই জানান, বুধবার দুপুরে মেঘনা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন জেলেরা। পরে গজারিয়া নৌপুলিশের একটি দল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে স্বজনদের খবর দিলে নিহতের মামা আব্দুল রউফ চোকদারসহ অন্যান্য স্বজনেরা মরদেহ শনাক্ত করেন।
এসআই আরও জানান, স্বজনদের খবর দিলে সন্ধ্যার একটু আগে তারা ফাঁড়িতে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। মরদেহের ময়নাতদন্ত না করার জন্য তাঁরা আবেদন জানিয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সে আবেদন মঞ্জুর করলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শরীয়তপুর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ এম. ভি বায়েজিদ জোনায়েদ-১ থেকে ছেলের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে মনোমালিন্য করে আকস্মিক ঝাঁপ দেন জামেরুন বেগম (৪০)। এ সময় তাকে বাঁচাতে তাঁর ছেলেও নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়া নারী নিজে সাঁতরে তীরে উঠে এলেও ছেলে নিখোঁজ হন।