• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

বরিশালে বিএনপির সমাবেশের আগে বাস ধর্মঘট

প্রকাশ:  ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৫৫
বরিশাল প্রতিনিধি

মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যান ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল বন্ধের দাবিতে আগামী ৪-৫ নভেম্বর বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাসমালিকদের সংগঠন বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ। এদিকে ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ হওয়ার কথা আছে। নেতাকর্মীদের দাবি, সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং ব্যাপক জনসমাগম ঠেকাতে বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাসরেক ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বাস মালিক সমিতির নেতারা তাদের দাবি আদায়ে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। অন্যথায় ৪-৫ নভেম্বর বরিশালের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ ও অভ্যন্তরীণ বাস টার্মিনাল রূপাতলী থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. আমিন উল আহসান বলেন, আমরা এ ধরনের একটি চিঠি পেয়েছি। এ বিষয়ে হাইকোর্ট এবং সরকারের একটি নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেবো ও এসব যান বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছি।

বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, ৫ নভেম্বর বরিশালে বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এছাড়া এরই মধ্যে গণসমাবেশ আয়োজনে নানা প্রস্তুতি চলছে। কেন্দ্রীয় নেতারা বিভাগের ছয় জেলার নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বৈঠক করছেন। এ অবস্থায় গণসমাবেশ আয়োজন ছাড়া বিকল্প কোনো কিছু ভাবছে না বরিশাল বিএনপি।

তিনি বলেন, যতো বাধা-প্রতিবন্ধকতা আসুক সেটি উপেক্ষা করে ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বিভাগীয় গণসমাবেশে মানুষের ঢল নামবে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে গণপরিবহন বন্ধ করা হবে, এটা আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম। আশঙ্কা করছি ৪ ও ৫ নভেম্বর ট্রাক-লঞ্চ এমনকি খেয়াঘাটও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। বিষয়টি মাথায় নিয়েই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার বলেন, মহাসড়কে তিন চাকার যানবহনসহ অনুমোদনহীন নসিমন-করিমন ও অন্যান্য যানবহন চলাচল করছে। এতে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনকে লিখিতভাবে কয়েকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বিভাগের ছয় জেলার বাস মালিক ও পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বেশ কয়েকবার আলোচনা করে ৪-৫ নভেম্বর কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এর আগেই তিন চাকার যানবহন ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ কার্যকর হলে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবো।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশ কবে জানা নেই। বিএনপির পক্ষে থেকে বাস মালিক সমিতির নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়নি। এছাড়া তিন চাকার যানবহনসহ অনুমোদহীন নসিমন-করিমন ও অন্য যানবহন চলাচল বন্ধে আগে থেকেই বিভাগের ছয় কর্মসূচি ঘোষণার আলোচনা চলছিলো। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও প্রশাসন কার্যকারী পদক্ষেপ না নেওয়ায় কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।

বরিশাল বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের কাওছার হোসেন শিপন বলেন, কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়। আমরা পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে বিভাগীয় বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন সংগঠনের নেতারা আলোচনা করে ৪-৫ নভেম্বর কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

ধর্মঘট,বাস,বরিশাল,বিএনপি,সমাবেশ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close