• রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

পুলিশের ঘোষণায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাত আতঙ্ক

প্রকাশ:  ২৯ অক্টোবর ২০২২, ১৬:২৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের বাহুবল ও মাধবপুর থানা থেকে পুলিশের দুটি দল ট্র্যাকিং করে জানতে পারে, ডাকাতের একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ঢুকেছে। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি অবগত করে সতর্ক থাকতে নাসিরনগর থানায় জানানো হয়। পরে ‘ডাকাত আসতে পারে’— এমন বার্তা থানা থেকে দেওয়া হয়। এখন নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ‘ডাকাত আতঙ্কে’ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

বিভিন্ন ইউপির জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজন জানান, বুধবার দিনগত রাত ১২টার দিকে উপজেলা সদর ইউপি মেম্বার (৫ নম্বর ওয়ার্ড কুলিকুন্ডা গ্রাম) মসজিদের মাইকে ঘোষণা করেন, ‘পুলিশ বলেছে, এলাকায় ডাকাত পড়েছে। সবাই ঘর ছেড়ে বের হয়ে আসুন। ডাকাত পড়েছে এলাকায়।’

মুহূর্তে পুরো ইউনিয়নসহ আশপাশের ইউনিয়নেও এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে রাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন।

যদিও বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন ইউনিয়নে খবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কোথাও ডাকাতির কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে আতঙ্ক এখনও কাটেনি। গত বৃহস্পতিবার রাতেও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থানীয় লোকজন পাহারা দিয়েছেন। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতেও লোকজন এলাকা পাহারা দিয়েছেন।

উপজেলার সদর ইউপির সদস্য মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, পুলিশ মুঠোফোনে জানায় যেকোনও সময় যেকোনও গ্রামে ডাকাতি হতে পারে। এজন্য গ্রামে নিরাপত্তা দিতে স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে পাহারার ব্যবস্থা করার কথা বলেছে পুলিশ। সে অনুযায়ী পাহারার ব্যবস্থা করেছি।

এ ছাড়া বুধবার রাতে উপজেলার কয়েকজন তরুণ ও যুবক নিজেদের ফেসবুকে ‘নাসিরনগরে নাকি ডাকাতের বড় একটি গ্রুপ ঢুকেছে, সবাই সতর্ক থাকুন এবং কিছু ঘটলে নিজ এলাকার পুলিশ, বিট অফিসারকে ইনফর্ম করুন’ লিখে পোস্ট করেন।

সদর ইউপির সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, ইউপির চেয়ারম্যান, থানা-পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীরা ডাকাতের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। এজন্যই লোকজন রাত জেগে এলাকা পাহারা দিচ্ছেন। ফান্দাউক ইউপির চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক বলেন, প্রথমে পুলিশ আমাদের বিষয়টি অবগত করেছে। কিন্তু আমি এলাকায় কোনও মাইকিং করিনি। তবে লোকজনকে সতর্ক করেছিলাম।

উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস বলেন, ‘ডাকাত আসতে পারে’ পুলিশের এমন ঘোষণায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে পুলিশসহ আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি। নিরাপত্তার কথা ভেবে সাধারণ মানুষ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। হয়তো আরও ১০-১৫ দিন এমনভাবে পাহারা দিতে হবে।

এদিকে, ডাকাত আসার বার্তা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ সরকার।

তিনি বলেন, পাশের হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল ও মাধবপুর থানা থেকে পুলিশের দুটি দল ট্র্যাকিং করে জানতে পারে যে ডাকাতের একটি দল নাসিরনগরে ঢুকেছে। সহায়তা চেয়ে তারা বিষয়টি তাদের জানায়। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি অবগত করে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অপরিচিত কাউকে দেখলে, ডাকাতের বিষয়ে কিছু টের পেলে বা কারও সন্দেহজনক চলাফেরা দেখলে পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধিরা দু’একজনকে জানাতে গিয়ে বিষয়টি ছড়িয়ে দিয়েছেন। ডাকাতদের গ্রেপ্তার করার জন্য বাহুবল, মাধবপুর ও নাসিরনগর থানার পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

পুলিশ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,ডাকাত,আতঙ্ক

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close