‘আগের মতো পারি না, পারলে একাই না. গঞ্জ কন্ট্রোল করতাম’
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, এখন বয়স হয়েছে। আগের মতো পারি না। পারলে একাই নারায়ণগঞ্জ কন্ট্রোল করে ফেলতাম। আমরা জানি কারা মাদক ব্যবসা করে। আমরা এমন ভান ধরি, সুশীল সাজি অথচ শেল্টারেই মাদক ব্যাবসা হচ্ছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) জেলা পুলিশ লাইন্সে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর
কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শামীম ওসমান বলেন, ‘৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জে ফেন্সিডিল ক্লাব নামে ক্লাবও ছিলো। তখন প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জে ত্রিশ হাজার ফেন্সিডিল বিক্রি হতো। নিষিদ্ধ পল্লী উচ্ছেদের সময় তখনকার এসপি এবং ওসিরা আমাকে যেভাবে সাহায্য করেছেন, আমি তাদের জন্য দোয়া করি।
তিনি বলেন, কোরআনে বলা আছে যে জাতি নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে সাহায্য করে না। কমিউনিটি পুলিশের সদস্য যারা আছেন, আমরা দোষ ধরি খুব বেশি। আমরা মানুষের ভালো থেকে খারাপ দেখি বেশি। কোনো সেক্টর নেই যেখানে সকলে পারফেক্ট। সেটা রাজনীতি হোক, সাংবাদিক, শিক্ষক, হুজুর কেউ পারফেক্ট না। সকল জায়গায় কিছু ভালো থাকবে, কিছু খারাপ থাকবে।
শামীম ওসমান বলেন, আমি পুলিশের জীবন দেখি। আমরা পুলিশের দোষত্রুটি ধরি, ধরারই কথা। কিন্তু এদের কিন্তু ছুটি বলতে কোনো জিনিস নেই। এদের ঈদ পূজা সবসময় ডিউটি করতে হয়। পরিবারের সাথে গল্প করার সুযোগ তাদের জীবনে অনেক কম আসে। আমাদের সিপাহীরা বেশ মানবেতর জীবন যাপন করেন। যদিও সরকার তাদের জন্য অনেক কিছু করেছে।
তিনি বলেন, নিষিদ্ধ পল্লীতে এগারো বছরের নিচে ছয় হাজার মেয়ে ছিল। এই নিষিদ্ধ পল্লী দেশের ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ করতো। আমরা এটা উচ্ছেদ করেছি। আমি কাবা শরীফ ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিলাম আল্লাহকে খুশি করতে। নেত্রীকে বলেছিলাম বাধা আসবে, তিনি বলেছিলেন ভালো কাজে বাধা আসবেই। দেশি বিদেশি অনেকেই বাধা দিতে এসেছিলো। সেই কাজটি করে আমার মনে হয়, আমি জীবনে একটা ভালো কাজ করেছিলাম।
শামীম ওসমান বলেন, আমি সপ্তাহে দু’দিন আমার এলাকার ওসিদের নিয়ে কথা বলতাম। আমি নিজে শীতের মধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নেমেছিলাম। আমাকে না চিনতে পেরে গুলিও করতে এসেছিলো। তিন দিনের মাথায় মাদক সমস্যা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমাকে সেই সময়কার আইজিপি ডেকে নিয়ে বলেছিলেন, তোমাকে মেরে ফেলবে। সারা দেশের মাদক ব্যবসায়ীরা এক হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম