• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

বরগুনায় আ. লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ, আহত ৫০

প্রকাশ:  ৩০ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৫৭
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এ সংঘর্ষ ঘটে।

জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। এ সময় সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাশী জিএম ওসমানী হাসান বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যের পরই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান বাদল খান উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।

ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন আমতলী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জিএম হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নাজমুল আহসান নান্নু ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান মিয়া। এ নিয়ে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। মুহূর্তের মধ্যে সম্মেলন স্থান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সভাস্থলের চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। নেতাকর্মীরা ছোটাছুটি করে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। আমতলী একে স্কুল এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক সব দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল অঞ্চল) অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার দু’পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা সভা মঞ্চ ছেড়ে নিরাপদে চলে যান।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে জিএম মুছা, জিএম হাসান, গাজী রুবেল, গাজী মো. বায়েজিদ, শাহীন, সোহেল রানা, রাকিবুল ইসলাম, আলী হোসেন, জসিম হাওলাদার, তাজুল ইসলাম, মুববি সরোয়ার সোয়াম, মধু মোল্লা, দুলাল পাহলান, ময়জদ্দিনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে জিএম মুছা, সোহেল রানা, বায়েজিতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত সাংবাদিকরা হলেন- সোহাগ মিয়া, অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন পান্না, সিফাত, সোহাগ হাফিজ, সাইফুল ইসলাম, জাহিদ ও মাহবুবুল আলম। তাদের আমতলী ও বরগুনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পরই সভাস্থল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ।

আমতলী পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছা বলেন, আখতারুজ্জামান বাদল খানের উসকানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করেছে। এ হামলায় আমার পক্ষের ১৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে আমাকে ও আমার ভাই জিএম ওসমানী হাসানসহ বেশ নেতাকর্মীকে মারধর করেছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খানের মোবাইল নম্বরে কল দিলেও তিনি করেননি।

আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, জিএম মুছা ও তার ভাই হাসান, নাজমুল হাসান নান্নু, ফোরকান মিয়া, শাহজাহান কবির ও গাজী সামসুল হক সম্মেলন গণ্ডগোল করতেই সভা মঞ্চে এসেছে এবং তারাই সম্মেলন বানচাল করতেই সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তাদের হামলায় আমার অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশের কঠোর হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

বরগুনা,আওয়ামী লীগ,সম্মেলন,সংঘর্ষ,আহত

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close