পদ্মার এক কাতল বিক্রি ২৮ হাজার টাকায়
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে স্থানীয় জেলে ইসহাক সরদারের জালে ২১ কেজি ওজনের একটি বড় কাতল মাছ ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি পরে ২৮ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে টানা ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা ইলিশের পাশাপাশি অন্য মাছ ধরাও বন্ধ রেখেছিলেন। তারা এই ২২ দিন অলস সময় পার করেছেন। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় পদ্মা-যমুনায় আশানুরূপ ইলিশের দেখা না পেলেও পাঙাশ,কাতল, বাগাড় ধরা পড়ছে প্রচুর।
সম্পর্কিত খবর
জেলে ইসহাক সরদার বলেন, ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় ট্রলার নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে বের হইনি। তখন খুব কষ্টে ছিলাম। নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার পর প্রতিদিনের মতো সহযোগীদের নিয়ে পদ্মায় মাছ ধরতে বের হলে ভোরের দিকে জালে একটি বড় কাতল মাছ ধরা পড়ে। সঙ্গে ছোট ছোট পাঙাশ মাছও জালে আটকা পড়ে। কিন্তু আশানুরূপ ইলিশ মাছ জালে আটকে পড়েনি। পরে কাতল মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়ার আনোয়ার খাঁর আড়তে নিয়ে আসলে উন্মুক্ত নিলামে ৫নং ফেরিঘাটের ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ১ হাজার ৩৫০ টাকা কেজি দরে মোট ২৮ হাজার ৩৫০ টাকায় মাছটি কিনে নেন।
মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, সকালে আনোয়ার খাঁর আড়ত থেকে একটি বড় সাইজের কাতল মাছ ১ হাজার ৩৫০ টাকা কেজি দরে ২৮ হাজার ৩৫০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এখন মাছটি বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা লাভে বিক্রি করা হবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মো. শাহরিয়ার জামান সাবু বলেন, ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার পর পদ্মায় জেলেরা আশানুরূপ ইলিশ পাচ্ছে না। তবে পাঙাশ, কাতল, রুই, বাগাড়সহ দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ এখন জেলেদের জালে ধরা পড়ছে।